গাজা দখলে হামলা বাড়িয়েছে ইসরাইল, আরও ৬৫ ফিলিস্তিনি নিহত
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা যেন তার শেষ প্রহর গুনছে। উপত্যকাটিতে পূর্ণ দখল নিতে হামলার মাত্রা বাড়িয়েছে দখলদার বাহিনী। শনিবার (২৩ আগস্ট) ভোর থেকে হামলা চালিয়ে অন্তত আরও ৬৫ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে শুধু গাজা সিটিতেই মারা গেছেন অন্তত ৩৭ জন।
শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
শুক্রবার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, শেখ রাদওয়ান এলাকায় একটি স্কুলে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত ১২ জন নিরীহ বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। স্কুলটির আঙিনায় অস্থায়ী তাবুতে আশ্রয় নিয়েছিলেন বহু বাস্তুচ্যুত মানুষ।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো এবং আল জাজিরা যাচাই করা ভিডিওতে দেখা গেছে, শেখ রাদওয়ানের আকাশে একটি ইসরাইলি কোয়াডকপ্টার ঘোরাফেরা করছে। হঠাৎ সেটি লক্ষ্যবস্তুতে বিস্ফোরক ফেললে ধোঁয়ায় ঢেকে যায় পুরো এলাকা।
অন্যদিকে গাজা সিটির তুফফাহ এলাকায় ইসরাইলি বাহিনীর হামলায় একজন নিহত হয়েছেন বলে আল-আহলি হাসপাতালের এক চিকিৎসক নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, হামাস যদি ইসরায়েলের শর্ত না মানে, তবে গাজার সবচেয়ে বড় শহর সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, “হামাসের হত্যাকারী ও ধর্ষকদের মাথার ওপরে শিগগিরই নরকের দরজা খুলে যাবে, যতক্ষণ না তারা যুদ্ধ শেষ করার শর্ত মেনে নেয়।”
ইসরাইলের শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে—সব বন্দির মুক্তি এবং হামাসের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ।
তবে হামাস জানিয়েছে, তারা বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে যুদ্ধবিরতি মানতে রাজি। তবে, ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠন ছাড়া নিরস্ত্রীকরণ মেনে নেবে না তার।
এদিকে কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় হামাস যুদ্ধবিরতির একটি নতুন প্রস্তাবে সম্মত হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় বৃহস্পতিবার ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু কর্মকর্তাদের বন্দি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দেন।
তবে একইসঙ্গে তিনি নিশ্চিত করেছেন, সেনাবাহিনীকে তিনি গাজা সিটি দখলের জন্য বড় ধরনের সামরিক অভিযানের অনুমোদন দেবেন, যা কয়েক দিনের মধ্যেই শুরু হতে পারে।
এমএ//