'তামাশা' করছেন তদন্ত কর্মকর্তা
পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা
বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশের ভৈরব সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী এ অভিযোগ করেন। তার অভিযোগ, বিয়ের দাবিতে সাকিবের বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যরা তাকে হত্যার চেষ্টা করেন।
ভুক্তভোগী জানিয়েছেন, ২০২৩ সালের জুন মাসে ফেসবুকের মাধ্যমে সাকিবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরবর্তীতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। স্ত্রী ও সন্তানের বিষয়টি গোপন রেখে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাকিব একাধিকবার তাকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে সাকিব শিক্ষা ক্যাডারের এক নারীকে বিয়ে করে বর্তমানে ভৈরবে বসবাস করছেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন। আদালত শাহবাগ থানাকে এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। বর্তমানে মামলাটির তদন্ত চলছে। অভিযোগকারীর দাবি, তদন্ত প্রতিবেদনে সুবিধা নিতে সাকিব চাপ সৃষ্টি করছেন। ন্যায়বিচার পেতে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি।
তিনি জানান, ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মোট তিনটি মামলা করেছেন। হত্যাচেষ্টার মামলাটি তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন। (পিবিআই)। তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি নিয়ে লুকোচুরি করছেন। হাসি-তামাশা করছেন।
অন্যদিকে অভিযুক্ত এএসপি সাকিব প্রথমে অভিযোগকারী নারীকে চেনেন না বলে সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেন। পরে স্বীকার করেন যে তার দ্বিতীয় বিয়ের জন্য ফেসবুকে পাত্রী চেয়ে পোস্ট করেছিলেন তার পরিবারের সদস্যরা। সেই পোস্ট দেখে ওই নারী জীবনবৃত্তান্ত পাঠিয়েছিলেন। ওই পরিচয়ে বেশ কিছুদিন তার সঙ্গে কথা হয়।
পরে বিয়ের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে দেখেন সাকিবের বোন। কিন্তু তার পছন্দ না হওয়ায় আর বিয়ে হয়নি।
ওই নারীর সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ ছবিগুলোকে "মেকি" বলে দাবি করেন তিনি। নাজমুস সাকিবের বর্তমান স্ত্রীর দাবি, সামাজিকভাবে হেয় করতেই তার স্বামীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ আনা হয়েছে।
জানা গেছে, সাকিবের প্রথম স্ত্রীও এক সময় তার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। সেই মামলায় তিনি কয়েকমাস জেল খেটেছিলেন। সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। এরপর ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর বঞ্চিত দাবি করে আবার পুলিশে যোগ দেন তিনি।
এমএ//