মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা
আজ মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে সাগর ও নদীতে ইলিশসহ সব ধরনের মাছধরার উপর নিষেধাজ্ঞা। এসময় মাছ আহরন, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাত করন সহ ক্রয় বিক্রয় সম্পুর্ন নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে সরকার।
শুক্রবার (৩ অক্টোবর) রাত ১২ টার পর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই ২২ দিন সাগরে সকল প্রকারের মাছধরা সম্পুর্ন নিষেধজ্ঞা বহাল থাকবে।
এ অবরোধের বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলার সমুদ্র নদী উপকূলে মাইকিং করা হয়েছে। সকাল থেকে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অধিকাংশ মাছধরা ট্রলার পটুয়াখালীর মহিপুর ও আলীপুর মৎস বন্দরের শিববাড়িয়া, রাঙ্গাবালীর চরমোন্তাজ, কোড়ালিয়া, মৌডুবী, গলাচিপা পানপট্রি দশমিনা নদীতে নিজ ঘাটে ফিরে এসেছে।
গত কয়েকদিন ধরে জেলেদের জালে কাংখিত মাছ ধরা পড়ায় তারা উছ্বসিত থাকলেও এ অবরোধ তাদের আনন্দ ম্লান করেছে। তারা সরকার কর্তৃক প্রদেয় প্রনোদনা বাড়ানোর পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী দেশের জেলেদের আগ্রাসন বন্ধে সমুদ্রে প্রশাসনের টহল বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।
সমুদ্র থেকে ফিরে আসা জেলেরা বলেন, সরকার আমাদের যে চাল দেয় তা পরিমানে কম, এটি আরো বাড়ানো উচিত।চাল সঠিক জেলেদের মাঝে বন্টন হয়না,যাও বন্টন হয় তাও আবার সঠিক সময়ে দেয়া হয়না।
ট্রলারের মাঝি মো, হুমায়ন বলেন, ‘আমাদের দেশে যখন সাগরে মাছধরা বন্ধ, তখন পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত আমাদের সাগরে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যায়। সাগরে আমাদের দেশের নৌবাহিনী, কোস্ট গার্ডের টহল আরো বাড়ানো উচিত’।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, জেলেদের সচেতন করার জন্য যথেষ্ট প্রচারণা চালানো হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার সময় জেলেদের সহায়তার জন্য ভিজিএফ এর উপর গুরুত্ব দিয়ে সহয়তা দেয়া হচ্ছে। এবার শুরু থেকেই জেলেদের চাল দেয়া শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, চার উপজেলায় চাল দেয়া সম্পন্ন হয়েছে। বাকি গুলো দু, এক দিনে শেষ হবে। প্রকৃত জেলেদের কাছে যাতে সহয়তা পৌছানো যায় সেজন্য উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও গণমাধ্যমকর্মী দের সহায়তা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
কলাপাড়া সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, আজ শুক্রবার মধ্যেরাত ৪ অক্টোবর থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত এই ২২ দিন সাগরে সকল প্রকারের মাছধরা সম্পুর্ন নিষেধ। সাগরে নৌবাহিনী ও কোস্ট গার্ডের টহল আরো বাড়ানো হচ্ছে। সমুদ্রে এবছর বিমান বাহিনী দিয়ে ড্রোনের মাধ্যমে টহল দেয়া হবে। জেলেদের প্রণোদনা বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে। সঠিক জেলেদের সঠিক সময় জেলেদের প্রণোদনা দেয়া হবে। জেলেরা এ নিষেধাজ্ঞা মানায় সাগরে মাছ বেড়েছে এবং নদীতেও বড় বড় মাছ পাওয়া যাচ্ছ।
আই/এ