ক্যাম্পাস

চাকসু নির্বাচন: শীর্ষ দুই পদে শিবির, এক পদে ছাত্রদল জয়ী

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছে ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল। মোট ২৬টি পদের মধ্যে সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস)সহ ২৪টি পদে তারা জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থীরা সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)সহ দুটি পদে বিজয় লাভ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ভোররাত ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএ অডিটোরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

শিবির সমর্থিত প্যানেলের ভিপি পদে ইব্রাহিম রনি (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৭-১৮ সেশন) পেয়েছেন ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন হৃদয় পেয়েছেন ৪ হাজার ৩৭৪ ভোট।

জিএস পদে শিবিরের সাঈদ বিন হাবিব (ইতিহাস বিভাগ, ২০১৯-২০ সেশন) পেয়েছেন ৮ হাজার ৩১ ভোট, যেখানে ছাত্রদলের শাফায়াত পেয়েছেন ২ হাজার ৭২৪ ভোট।

এজিএস পদে ছাত্রদল সমর্থিত প্রার্থী আইয়ুবুর রহমান তৌফিক (ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ, ২০২১-২২ সেশন) জয় পেয়েছেন ৭ হাজার ১৪ ভোট পেয়ে। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শিবির সমর্থিত সাজ্জাদ হোসেন মুন্না পেয়েছেন ৫ হাজার ৪৫ ভোট।

ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের অন্য বিজয়ীরা হলেন—

খেলাধুলা সম্পাদক মোহাম্মদ শাওন, সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক হারেজুল ইসলাম, সহ-সাহিত্য সম্পাদক জিহাদ হোসাইন, দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমান, সহ-দপ্তর সম্পাদক জান্নাতুল আদন নুসরাত, ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক নাহিমা আক্তার দ্বীপা, সহ-ছাত্রীকল্যাণ সম্পাদক জান্নাতুল ফেরদৌস রিতা, বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, গবেষণা সম্পাদক তানভীর আঞ্জুম শোভন, সমাজসেবা সম্পাদক তাহসিনা রহমান, স্বাস্থ্য সম্পাদক আফনান হাসান ইমরান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোনায়েম শরীফ, ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক মেহেদী হাসান সোহান, যোগাযোগ সম্পাদক মো. ইসহাক ভূঁঞা, সহ-যোগাযোগ সম্পাদক ওবায়দুল সালমান, আইন সম্পাদক ফজলে রাব্বি তৌহিদ এবং পাঠাগার সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ।

এছাড়া নির্বাহী সদস্যের পাঁচটি পদেও জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত প্রার্থীরা—আকাশ দাশ, আদনান শরীফ, জান্নাতুল ফেরদৌস সানজিদা, সোহানুর রহমান ও সালমান ফারসী।

অন্যদিকে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল থেকে এজিএস পদে আইয়ুবুর রহমান তৌফিকের পাশাপাশি সহ-খেলাধুলা সম্পাদক পদে জয় পেয়েছেন তামান্না মাহবুব প্রীতি।

চলতি নির্বাচনে মোট ১৩টি প্যানেলের ৯০৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় সংসদের ২৬টি পদে ৪১৫ জন এবং হল সংসদের ১৪টি পদে ৪৯৩ জন প্রার্থী ছিলেন। মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৭ হাজার ৫১৬ জন, যার মধ্যে ১৬ হাজার ৮৪ জন পুরুষ ও ১১ হাজার ৩২৯ জন নারী ভোটার

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন