সাউন্ডবক্স বাজিয়ে মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণ, আসামি গ্রেপ্তার
সিরাজগঞ্জে বহুল আলোচিত সাউন্ড বক্স বাজিয়ে কিশোরী ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি মো. নাইম হোসেনকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। গ্রেপ্তারকৃত নাইম হোসেন সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার চর কামারখন্দ গ্রামের মো. রহমত আলীর ছেলে।
বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১২, সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আহসান হাবিবের সই করা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, র্যাব-১২, সদর কোম্পানি, সিরাজগঞ্জ ও র্যাব-১১ কুমিল্লার যৌথ অভিযানে কুমিল্লা জেলার তিতাস থানার জিয়ারকান্দি এলাকায় ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিশেষ অভিযানে নাইমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব জানায়, গত ১৯ অক্টোবর সকালে কামারখন্দ থানার একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসায় যাওয়ার পর নিখোঁজ হয়। সন্ধ্যার পর অজ্ঞাত এক ব্যক্তি ফোনে তার পরিবারকে জানায়, ওই কিশোরী অচেতন অবস্থায় সিরাজগঞ্জ কমিউনিটি ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছে।
পরিবার সেখানে পৌঁছে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। জ্ঞান ফেরার পর ভুক্তভোগী জানায়, মাদ্রাসা থেকে কলম কিনতে যাওয়ার সময় ওৎ পেতে থাকা নাইম ও তার সহযোগীরা সিএনজিতে করে তাকে অপহরণ করে কামারখন্দ উপজেলার ডেরা ফাস্ট ফুড অ্যান্ড চাইনিজ রেস্টুরেন্টে নিয়ে যায় এবং সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয়।
জানা যায়, এসময় আসামীর কয়েকজন বন্ধু রেস্টুরেন্টের বাইরে পাহাড়া দিতে থাকে। ওই কিশোরীর আওয়াজ যাতে বাইরে না যায় সে জন্য ভেতরে সাউন্ডবক্স বাজানো হয়।
ধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে অচেতন অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় আসামিরা। এ ঘটনায় পরদিন (২০ অক্টোবর) ভিকটিমের মা কামারখন্দ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
র্যাবের উপ-অধিনায়ক মেজর মো. আহসান হাবিব বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের আওতায় আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্নের পর কামারখন্দ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
আই/এ