বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : আইন উপদেষ্টা
বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিদের অংশগ্রহণ নিষিদ্ধ, ইভিএম বিলুপ্তসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে (আরপিও) সংশোধনের অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।
বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
তিনি বলেন, সংশোধনীতে ইভিএম সংক্রান্ত বিধান বিলুপ্ত করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংজ্ঞাতে আর্মি, নেভি এবং এয়ারফোর্স অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বিভিন্ন মামলায় পলাতক ব্যক্তিরা নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না—এই বিধান যুক্ত করা হয়েছে। জেলায় যে নির্বাচন অফিস আছে সেগুলো জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা ঠিক করবেন।
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘যারা নির্বাচন করবেন তাদের দেশি এবং বিদেশি উৎস থেকে যত আয় আছে, সম্পত্তি আছে সমস্ত কিছুর বিবরণ দিতে হবে। এই সব কিছু আজকে প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দিয়েছেন, নির্বাচনে প্রার্থীদের দেশি ও বিদেশি আয়ের উৎস, সম্পত্তির বিবরণ নির্বাচন কমিশনে দিতে হবে এবং আমরা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে দিবো’।
আসিফ নজরুল বলেন, জামানতের পরিমাণ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার করা হয়েছে। ‘না’ ভোটের একটা বিধান করা হয়েছে। ২০১৪ সালের ভুয়া ভোটে ১৫৪ জন এমপি নির্বাচিত হওয়ার মত ঘটনা যেন না হয় সেটি ঠেকাতে ‘না’ ভোট এর বিধান আনা হয়েছে। না ভোটের পরিমাণ বেশি হলে সেখানে পুনরায় নির্বাচন হবে।
তিনি আরও বলেন, গণমাধ্যমের কর্মীরা ভোট গণনার স্থানে থাকতে পারবেন। আর যারা রাজনৈতিক দলকে দান, অনুদান, চাঁদা যাই হোক না কেন ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তা ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে দিতে হবে। যিনি দেবেন তার ট্যাক্স রিটার্ন জমা দিতে হবে। এখন নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে নির্বাচনি পুরো এলাকায় এতো বেশি অনিয়ম হয়েছে যে পুরো নির্বাচনি এলাকার ভোট বাতিল করা উচিত। তাহলে নির্বাচন কমিশন তা করতে পারবে।
আই/এ