প্রধান উপদেষ্টাকে দ্রুত গণভোট নিয়ে আদেশ দিতে হবে : হাসনাত
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, দ্রুত গণভোট নিয়ে ‘অর্ডার’ হতে হবে, আদেশ দিতে হবে। এই আদেশের আলোচনাটি পাশ কাটিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই আদেশটি আমাদের এই গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যিনি প্রধান উপদেষ্টা হয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস, তাকেই জারি করতে হবে। ফ্যাসিস্টের রেখে যাওয়া লেগেসির ধারক চুপ্পুর এই আদেশ দেয়ার এখতিয়ার নেই।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) পিরোজপুর জেলা শাখার সমন্বয় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
জামাত ও বিএনপির সঙ্গে দূরত্ব তৈরির বিষয়ে হাসনাত বলেন, ‘যখন জামায়াত আমাদের সংস্কারগুলো ও মৌলিক প্রস্তাবনাগুলোকে এগিয়ে নিয়ে গেছে, তখন মনে হয়েছে জামায়াতের সঙ্গে আমাদের হৃদ্যতা রয়েছে, একই জিনিস বিএনপির ক্ষেত্রেও হয়েছে। মূলত সংস্কারের পক্ষে যারা থাকবে, এনসিপির সঙ্গে তাদের হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। এই সংস্কারের বিপক্ষে যারা অবস্থান নেবেন, এনসিপির সঙ্গে তাদের দূরত্ব তৈরি হবে’।
তিনি বলেন, সংস্কারগুলোর মৌলিক প্রস্তাবনাগুলোর পক্ষে যারা আছে, তারা বলছেন ‘হ্যাঁ’, আর বিপক্ষে যারা অবস্থান নিয়েছেন বিশেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রশ্নে, বিশেষ করে এনসিসির প্রশ্নে, দুদককে স্বাধীনভাবে দূর করা হবে কিনা সেই প্রশ্নে এখন তারা হ্যাঁ–না’র মধ্য দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছে। যারা না বলছেন, তাদের একটা বিষয়ে স্পষ্ট যে তারা মৌলিক সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
শাপলাকলি প্রতীক অন্তর্ভুক্তি নিয়ে তিনি আরও বলেন, কোন নীতিমালার মধ্য দিয়ে শাপলা অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই নির্বাচন কমিশন কিন্তু তা স্পষ্ট করে নাই আবার কোন নীতিমালার মধ্য দিয়ে বেগুনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তারা সেটাও স্পষ্ট করে নাই। নির্বাচন কমিশন এভাবে চলতে পারে না। এটি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান এবং অবশ্যই নীতিমালা ও নিয়মের ভিত্তিতেই চলতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এনসিপির বরিশাল বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন, কেন্দ্রীয় সদস্য ও বরিশাল জেলার প্রধান সমন্বয়কারী আবু সাঈদ মুসা, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ও পিরোজপুর জেলার প্রধান সমন্বয়কারী মশিউর রহমান প্রমুখ।