তীব্র লড়াইয়ের মধ্যে অগ্রসর হচ্ছে সুদানি সেনাবাহিনী
সুদানের উত্তর ও পশ্চিম কোরদোফান অঞ্চলে আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর সঙ্গে তীব্র সংঘর্ষের মধ্যেও অগ্রসর হচ্ছে সরকারি সেনাবাহিনী। রোববার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলু।
একাধিক সামরিক সূত্রের বরাতে আনাদোলু জানিয়েছে, ওম সামিমা নামে কৌশলগত গুরুত্বসম্পন্ন এলাকায় দিনভর ভারী সংঘর্ষ হয়—এটি এল-ওবেইদ শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত এবং উত্তর ও পশ্চিম কোরদোফানকে সংযুক্ত করে। সেনাবাহিনীর দাবি, তারা ভারী ও হালকা অস্ত্র ব্যবহার করে ওই এলাকায় আরএসএফের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে ধীরে ধীরে এগিয়ে যাচ্ছে।
সামরিক সূত্রগুলো আরও জানায়, পশ্চিম কোরদোফানের আল-খুওয়াইয়ের পশ্চিম দিকেও সরকারি বাহিনী ও তাদের মিত্ররা অগ্রসর হচ্ছে। এলাকাটি এল-ওবেইদ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে।
এর আগে মঙ্গলবার সেনাবাহিনী জানিয়েছিল, কোরদোফান অঞ্চলের একাধিক ফ্রন্টে তারা “উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি” অর্জন করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি আরএসএফ-নিয়ন্ত্রিত দারফুর অঞ্চলের দিকে অগ্রসর হওয়ার একটি ইঙ্গিত।
অন্যদিকে, আরএসএফ দাবি করেছে যে উত্তর কোরদোফানের জাবাল আবু সুনুন, জাবাল ইসা এবং আল-আয়ারা অঞ্চলে তারা নতুন সাফল্য অর্জন করেছে।
গত ২৬ অক্টোবর আরএসএফ এল-ফাশের নিয়ন্ত্রণে নেয় এবং সেখানে ব্যাপকভাবে বেসামরিক লোকজনের ওপর হামলা চালায় বলে জানিয়েছে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো।
বর্তমানে দারফুরের পাঁচটি রাজ্যের সবকটিই আরএসএফের নিয়ন্ত্রণে, আর সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ করছে দক্ষিণ, উত্তর, পূর্ব ও মধ্যাঞ্চলের বেশিরভাগ এলাকা—যার মধ্যে রাজধানী খার্তুমও রয়েছে।
২০২৩ সালের ১৫ এপ্রিল থেকে সুদানি সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে সংঘাত শুরু হয় এবং তা দ্রুত ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়। এই যুদ্ধ এখন পর্যন্ত হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়েছে এবং লক্ষাধিক পরিবারকে বাস্তুচ্যুত করেছে—যা বিশ্বে সবচেয়ে ভয়াবহ মানবিক সংকটগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।