দেশজুড়ে

৬ কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগসড়ক, ভোগান্তিতে অর্ধ লাখ মানুষ

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের একডালা গ্রামে প্রায় আড়াই বছর আগে পাশাপাশি দুটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ৩২ ও ৪৪ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতু দুটির পেছনে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ কোটি টাকা। কিন্তু সেতুর দুই প্রান্তে সংযোগসড়ক না থাকায় সেগুলো এখনো ব্যবহারযোগ্য হয়নি। ফলে সেতুগুলো যানবাহনের পরিবর্তে ধান, খড় ও গোবর শুকানোর জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, কুড়ালিয়া দিয়ার–একডালা প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়কটি দিয়ে রতনকান্দি ও কাজিপুরের শুভগাছা ইউনিয়নের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ চলাচল করে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে রাস্তা ভাঙা থাকায় কৃষিপণ্য পরিবহন, রোগী আনা–নেওয়া ও শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ হচ্ছে। বর্ষায় পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়ে।

স্থানীয় বাসিন্দা আইনাল শেখ বলেন, “রাস্তা না থাকায় সেতুর কোনোই ব্যবহার নেই। বর্ষায় হাঁটতেও কষ্ট হয়।” অন্য বাসিন্দা আমিনুল সরকার জানান, ২৫ বছর আগে বন্যায় রাস্তা ভেঙে যাওয়ার পর আর সংস্কার হয়নি। বিভিন্ন সময় কর্মকর্তারা এলেও কাজের অগ্রগতি দেখা যায়নি।

রাস্তা না থাকায় কৃষকরা সময়মতো সার–বীজ এনে জমিতে দিতে পারছেন না এবং ফসল হাটে তুলতেও বেশি খরচ পড়ছে। শিক্ষার্থীরাও প্রতিদিন কাদা ও ভাঙা পথ পাড়ি দিয়ে স্কুল–কলেজে যেতে বাধ্য হচ্ছে। 

স্থানীয় কৃষক ফরহাদ আলী বলেন, “রাস্তা ছাড়া সেতু বানিয়ে লাভ কী? আগে রাস্তা হলে সেতুই ব্যবহার হতো।” কৃষক শাহীন জানান, যাতায়াত না থাকায় সেতুতে এখন ধান–খড় শুকানো ছাড়া আর কিছুই হয় না।

এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান বলেন, সেখানে সরকারি কোনো রাস্তা নেই। এলাকাবাসী জমি দিলে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হবে। 

 

এমএ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন