হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক হান্নান রিমান্ডে
ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে গুলি করার সময় ঘাতকদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের মালিক মো. আব্দুল হান্নানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (১৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের আদালত এই আদেশ দেন।
এর আগে, আসামিকে আদালতে হাজির করে ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক সামিম হাসান।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) শামসুদ্দোহা সুমন রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। অন্যদিকে আসামিপক্ষের কোন আইনজীবী ছিল না।
আবেদনে বলা হয়, গেল ১২ ডিসেম্বর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি ও তার একজন সহযোগী ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় চড়ে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকার বক্স কালভার্ট এলাকা দিয়ে যাচ্ছিলেন। এসময় মোটরসাইকেলে হেলমেট পরা অজ্ঞাতনামা দুইজন অস্ত্রধারী ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে। এতে গুরুতর আহত হন ওসমান হাদী। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনায় এমন চিত্র দেখা যায়
হাদী বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে র্যাব জানতে পেরেছে ঘাতকদের ব্যবহার করা মোটরসাইকেলের মালিক আসামি মো. আব্দুল হান্নান। ১৩ ডিসেম্বর তাকে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি মোটরসাইকেলটি নিজের বলে স্বীকার করেছেন।
একারনে ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে আসামিকে ফৌজদারী কার্যবিধি আইনের ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেয়া প্রয়োজন। তিনি জামিন পেলে স্থায়ীভাবে পারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
আদলতে জবানবন্দিতে হান্নান বলেছেন, ‘আমাকে গ্রেপ্তারের পর র্যাবকে বলেছিলাম, শো-রুমে নিয়ে চলেন, তাহলে সব সত্যি বেরিয়ে আসবে। কিন্তু তারা নিয়ে যায়নি। থানায় এসে পুলিশকেও বলেছিলাম, শো-রুমে নিয়ে যেতে। বলেছিলাম তদন্ত করেন, সব বেরিয়ে যাবে। আমি এ মোটরসাইকেলটি মিরপুর মাজার রোড থেকে কিনেছিলাম। তবে হাতে সমস্যা হওয়ায় পরিবার থেকে মোটরসাইকেল চালাতে নিষেধ করেছিল। এজন্য বাসায় মোটরসাইকেলটি পড়ে ছিল। পড়ে থাকলে মোটরসাইকেলটি নষ্ট হয়ে যাবে ভেবে একটি শো-রুমে বিক্রি করে দেই। আমি মালিকানা পরিবর্তন করে দিবো বলেছিলাম। তারা (শো-রুমের লোক) দুই মাস আগে আমাকে কল দিয়েছিল, কিন্তু অসুস্থ থাকায় মালিকানা পরিবর্তন করার জন্য যেতে পারিনি।’
এসি//