জাতীয়

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর সংবাদ

ছবি: সংগৃহীত

আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টায় বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী এবং জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর মৃত্যু সংবাদ বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন প্রভাবশালী গণমাধ্যমে সম্প্রচারিত হয়েছে।

'বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ৮০ বছর বয়সে মারা গেলেন,' এ সংবাদে ১৯৯১ সালে তিনি প্রথম সরকার প্রধান হিসেবে ক্ষমতায় আসেন এ তথ্যটি তুলে ধরা হয়। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে তার যাত্রা বর্ণনা করা হয়েছে বিবিসির খবরটিতে। 

২০০৬ সালের পর আর ক্ষমতায় না থাকলেও খালেদা জিয়া এবং তার দল বিএনপির পক্ষে বিপুল জনসমর্থন রয়েছে, এ প্রতিবেদনে বলা হয়। ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে জয়ী হবার লড়াইয়ে সামনের দিকে আছে বিএনপি, লিখেছে রয়টার্স। 

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এ সংক্রান্ত খবরের শিরোনাম- 'খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, মারা গেলেন ৮০ বছর বয়সে।'
 
কিছুটা ভিন্ন আঙ্গিকে খবর করেছে সিএনএন। 'খালেদা জিয়া, প্রাক্তন বাংলাদেশি প্রধানমন্ত্রী এবং হাসিনার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী, ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন,' তাদের শিরোনাম। 

খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার প্রতিদ্বন্দিতাই বাংলাদেশের রাজনীতির মূল বিষয় ছিল একটি লম্বা সময় ধরে, তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়। সামরিক একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে খালেদার অবস্থান, শেখ হাসিনার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, এবং তার অসুস্থতার বিষয়গুলো উঠে এসেছে এই প্রতিবেদনে। 

ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, 'খালেদা জিয়া, প্রাক্তন বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী এবং বিএনপি প্রধান মারা গেছেন ৮০ বছর বয়সে।'

গত ৩৬ দিন ধরে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া, তাদের খবরে বলা হয়েছে। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর শোকবার্তাটিও উঠে এসেছে এনডিটিভির খবরে। 

সংবাদ সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে পাকিস্তানি গণমাধ্যম দ্য ডন খবর করেছে, 'খালেদা জিয়া, বাংলাদেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী, লম্বা সময় অসুস্থ থাকার পর ৮০ বছর বয়সে মারা গেছেন।'

বিএনপির বিবৃতির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার ফজরের নামাজের পর পর ৬টায় মারা গেছেন বেগম খালেদা জিয়া। এছাড়া দ্য ডনের নিজস্ব ইনস্টাগ্রাম একাউন্টেও ১৯৪৫ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ফটো স্টোরি প্রকাশ করা হয়েছে। 
  
'বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জিয়ার মৃত্যুতে একটি যুগের অবসান,' এএফপির বরাত দিয়ে খবর করেছে ফ্রান্স টুয়েন্টি ফোর। 

অসুস্থতা সত্ত্বেও আগামী জাতীয় নির্বাচনে দাঁড়ানোর সংকল্প ছিল খালেদা জিয়ার, এ খবরে বলা হয়েছে। এ ছাড়া খালেদা জিয়া এবং শেখ হাসিনার মাঝে বছরের পর বছর চলে আসা প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথাও উঠে এসেছে এ প্রতিবেদনে। 

উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন খালেদা জিয়া। গেল ২৩ নভেম্বর ফুসফুসে সংক্রমণজনিত শ্বাসকষ্ট নিয়ে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তার নিউমোনিয়া দেখা দেয় এবং একই সঙ্গে কিডনি, লিভার, আর্থ্রাইটিস ও ডায়াবেটিসসহ একাধিক জটিলতা বেড়ে যায়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। তবে সব চিকিৎসা প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তিনি ইন্তেকাল করেন।

 

এসএইচ//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন