টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
১৫ বছর পর নেই পঞ্চপাণ্ডবের কেউ। অনেকেই আশা দেখছিলেন তাদের জায়গা পূরণ করার। কিন্তু হলো উল্টোটা। পঞ্চপাণ্ডব ছাড়া বাংলাদেশ দলকে যে সত্যিই ভাবা যায়না তারই প্রমাণ মিললো। অকল্যান্ডে অধিনায়ক লিটনের যাত্রা শুরু হলো হার দিয়ে। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের হারের ব্যবধানটা দাঁড়ালো ৩২-০ তে।
বৃষ্টিতে বিঘ্নিত টি-টোয়েন্টি ম্যাচ রূপ নেয় টি-টেনে। তাই খুনে হয়ে উঠেন মার্টিন গাপটিল, ফিন অ্যালেনরা। বাংলাদেশের বোলারদের বেধড়ক পিটিয়ে গড়লেন ১৪১ রানের পাহাড়। জবাবে বাংলাদেশ অলআউট ৯.৩ ওভারে মাত্র ৭৬ রানে। টি-টোয়েন্টিতে টেস্ট খেলুড়ে দেশের ভেতর দশ ওভারের নিচে অলআউট হওয়া প্রথম দল হিসেবে লজ্জার রেকর্ড গড়লেন লিটনরা। আর কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে তাদের মাঠে টানা এতো বেশি হারের রেকর্ড বাংলাদেশের।
কিউইদের বিশাল রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে। মাত্র তিন ব্যাটসম্যান পেয়েছেন দুই ঘরের দেখা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ নাইমের ১৯ রান। সৌম্য করেন ১০ রান। কিউইদের হয়ে ২ ওভার বোলিংয়ে ৪ উইকেট নেন টড অ্যাস্টল। এটি তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড। ৩ উইকেট নেন টিম সাউদি।
এর আগে ম্যাচ ১০ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়েরই আভাস দিচ্ছিলেন গাপটিল আর অ্যালেন। ২২ বলেই তাদের দল তুলে নিল ৫০। প্রথম ৪ ওভারেই ৫৫ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। যেই বল করতে আসছিলেন, মার খাওয়াই যেন তার নিয়তি। ৬ষ্ঠ ওভারে বল করতে এসে শেখ মেহেদী আনেন প্রথম ব্রেক থ্রো। ১৯ বলে ৫ ছক্কায় ৪৪ করে বিদায় নেন গাপটিল। উইকেট পেলেও ওই ওভারে মেহেদী দেন ২০ রান।
শেষ দিকে ২৯ বলে ৭১ করা অ্যালেন ফেরেন তাসকিনের শেষ ওভারে। শর্ট থার্ডম্যান থেকে অনেকখানি পেছনে গিয়ে সেই ক্যাচ লুফেন বদলি ফিল্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ততক্ষণে কিউইরা রানের পাহাড়ে বসে আছে। ৭১ রানের ইনিংস খেলতে ১০ চারের সঙ্গে ৩ ছক্কা মারেন এই সিরিজেই অভিষেক হওয়া তরুণ অ্যালেন।
এএ
এএ