আর্কাইভ থেকে জাতীয়

৩৫ বেঞ্চ ও সব নিম্ন আদালত ভার্চুয়ালি করার আইনজীবীদের বিক্ষোভ

বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়াল বেঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো এবং অধস্তন আদালত (জেলা জজ ও দায়রা জজ) খুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের সাধারণ আইনজীবীরা।

সোমবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের সামনে আয়োজিত এক মানববন্ধনে প্রধান বিচারপতির উদ্দেশে এমন দাবি তোলেন আইনজীবীরা।

সাতদিনের লকডাউনে সুপ্রিম কোর্টে নিয়মিত আদালত বসছে না। তবে সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের কার্যক্রম সীমিত পরিসরে পরিচালিত হবে। সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন থেকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ কথা জানানো হয়। এ সময়ের মধ্যে রিট, দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলার বিষয়ে একটি করে ডিভিশন বেঞ্চ এবং কোম্পানি ও অ্যাডমিরালটি সংক্রান্ত মামলার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হাইকোর্ট বিভাগের চারটি বেঞ্চ চলবে।

কিন্তু এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ড. মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদীর নেতৃত্বে সাধারণ আইনজীবীদের ব্যানারে মানববন্ধন করা হয়।

মানববন্ধনে অ্যাডভোকেট মোমতাজউদ্দিন আহমদ মেহেদী বলেন, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি লকডাউনে সুপ্রিম কোর্টে আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য চারটি ভার্চুয়াল বেঞ্চ গঠন করেছেন। আমরা সুপ্রিম কোর্টের কয়েকশ আইনজীবী অতি দুঃখের সঙ্গে ঘোষণা করতে চাই, ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে যে সুপ্রিম কোর্ট ৩৫টি ভার্চুয়াল বেঞ্চ পরিচালনায় সক্ষম। কিন্তু এবার লকডাউনে কেন শুধু চারটি বেঞ্চ গঠন করা হলো তা আইনজীবী-বিচারপ্রার্থীরা প্রধান বিচারপতির কাছে জানতে চান। কেন অধস্তন আদালতে একটি মাত্র কোর্ট খোলা রেখে বাকিগুলো বন্ধ রাখা হলো তা ৬০ হাজার আইনজীবী জানতে চান।

প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ করে তিনি আরও বলেন, আমরা লকডাউনের সময়ে সুপ্রিম কোর্টের ৩৫টি বেঞ্চ এবং সব নিম্ন আদালত ভার্চুয়ালি খোলা রাখার আবেদন জানাচ্ছি। লকডাউন শেষ হলে আগের মতো নিয়মিতভাবে এবং ভার্চুয়ালি আদালত খুলে দেয়া হবে বলে প্রত্যাশা করছি। কিন্তু আমাদের এসব দাবি মানা না হলে আগামীকাল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করব।

সাধারণ আইনজীবীরা বলেন, এতো দিন প্রধান বিচারপতি ও অন্যান্য জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের অংশগ্রহণে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে আপিল বিভাগের দুটি বেঞ্চ, হাইকোর্ট বিভাগের ৩৫টি বেঞ্চে ভার্চুয়ালি বিচার কার্যক্রম চলে আসছিল। কিন্তু এখন আবারও সরকার লকডাউন ঘোষণা করেছে। আগের মতো এখনো ভার্চুয়ালি হাইকোর্টের ৩৫টি আদালত চলতে সমস্যা কোথায়? তাই প্রধান বিচারপতির কাছে আমাদের সকল আইনজীবীদের দাবি সুপ্রিম কোর্টের রোববারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে হাইকোর্টে ৩৫টি বেঞ্চ দেয়া হোক। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে জেলা জজ ও দায়রা জেলা জজ আদালতে ভার্চুয়ালি বিচার কাজ চালু করা হোক।

উল্লেখ্য, লকডাউন চলাকালে হাইকোর্ট বিভাগে ভার্চুয়ালি চারটি বেঞ্চ (তিনটি দ্বৈত ও একটি একক) এবং সপ্তাহে দুদিন আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারিক কার্যক্রম চলবে। পাশাপাশি দেশের অধস্তন আদালতসমূহের মধ্যে জেলা ও মহানগর প্রতি একজন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা জরুরি বিষয়ে বিচারকাজ পরিচালিত হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন