লন্ডনের রাস্তায় রাত কাটালেন মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত
লন্ডনে থাকা মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত জ জোয়া মিনকে বরখাস্ত করে তাকে দূতাবাস থেকে বের করে দেয়া হয়। ফলে বুধবার (৭ এপ্রিল) তিনি ভবনের বাইরে তার গাড়িতে রাস্তায় রাত কাটিয়েছেন। তিনি যাতে ভবনে ঢুকতে না পারেন সেজন্য বসানো হয়েছে পুলিশ। খবর সংস্থা রয়টার্সের।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, রাষ্ট্রদূতকে বরখাস্ত করে উপ-রাষ্ট্রদূত চিট উইনকে লন্ডনের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্সের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রদূতের অনুপস্থিতে চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার দূতাবাসের প্রধান হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন।
এদিকে রাষ্ট্রদূতকে বের করে দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে মিয়ানমারের লোকজন লন্ডনের কেন্দ্রে দূতাবাস ভবনের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ জানাতে শুরু করে।
ভিয়েনা কনভেনশন অনুসারে রাষ্ট্রদূত যে দেশে কাজ করছিলেন সেদেশকে জানানোর পর ওই রাষ্ট্রদূতের চাকরি আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হয়ে যায়।
তবে এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন, ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব। যদিও রাষ্ট্রদূত পরিবর্তনের এই সিদ্ধান্তকে লন্ডন মেনে নিয়েছে।
এদিকে জ জোয়া মিন বলেছেন, দূতাবাসে কর্মরত লোকজনকে ভবন ছেড়ে চলে যাওয়ার আদেশ দেন মিয়ানমারের মিলিটারি অ্যাটাশে এবং দেশটির রাষ্ট্রদূতের পদ থেকেও তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
বিবিসি জানিয়েছে, ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকে জ জোয়া মিন সেনা অভ্যুত্থানের সমালোচনা করে অং সান সু চির মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিলেন।
জ জোয়া মিন লন্ডনের এই ঘটনাকে অভ্যুত্থান হিসেবে অভিহিত করেছেন। বলেছেন, ‘সামরিক অ্যাটাশে তার দূতাবাস দখল’ করে রেখেছে। লন্ডনের কেন্দ্রে এধরনের অভ্যুত্থান গ্রহণযোগ্য নয়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে তারা এ সংক্রান্ত নোটিশ পেয়েছে, এবং ‘মিয়ানমার সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে অবশ্যই মেনে নিতে হবে।’
মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, জ জোয়া মিনকে দেশে ফেরত যেতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই আদেশ উপেক্ষা করে তিনি লন্ডনেই থেকে গেছেন।
শুভ মাহফুজ