আর্কাইভ থেকে ঢালিউড

কবরী একজনই হয়: শাবানা

চলে গেছেন ঢাকাই সিনেমার মিষ্টি মেয়ে খ্যাত সারাহ বেগম কবরী। কিন্তু তার এভাবে চলে যাওয়াকে এখনো মেনে নিতে পারছেন না আরেক কিংবদন্তী অভিনেত্রী শাবানা। তার মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ শাবানা। শোক সামলে বাষ্পরুদ্ধ কণ্ঠে শুধু বললেন, কবরী একজনই হয়।

অথচ একসময় শাবানা, কবরী এরা দুজনই বাংলা সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেত্রী। দুজনেই পেয়েছেন দর্শকের স্বীকৃতি এবং অফুরন্ত ভালোবাসা। চলচ্চিত্রে তাদের অবদান অসামান্য।

শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) মধ্যরাতে কবরীর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে শোকে বিহ্বল অসংখ্য চলচ্চিত্রপ্রেমী এবং সংশ্লিষ্টরা। এদের একজন শাবানা। তিনি দীর্ঘদিন আমেরিকা বাস করছেন। তাকে কবরীর মৃত্যু সংবাদ দেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। 

নিজের ফেসবুকে এমনটাই লিখেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর। তিনি লেখেন, “কবরী আপুর মৃত্যুর কথা যখন শাবানাজিকে বললাম, তিনি অনেকক্ষণ কোনো কথা বলেননি… তারপর কান্নাভেজা কণ্ঠে বললেন, ‘কবরী একজনই হয়’… লিজেন্ডের প্রতি লিজেন্ডের অসাধারণ সম্মান।”

কবরীর মৃত্যুর খবরে স্তম্ভিত শাবানা বলেন, ‘আমাদের কবরী চলে গেলেন!’ তারপর নিজেকে সামলে তিনি বলেন, ‘কবরী চলে যাওয়ার নয়। আমাদের কাছে কবরী একজনই। এ কবরী কখনোই চলে যাওয়ার নয়। তার কাজই তাকে আজীবন বাঁচিয়ে রাখবে।’ 

শারীরিক জটিলতা এবং করোনা পজিটিভ হওয়ায় ৫ এপ্রিল রাতে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয় কবরীকে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু কুর্মিটোলায় আইসিইউ না থাকায় শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে পাঠানো হয় এ অভিনেত্রীকে। এরপর গত বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়। সেখানেই গত ১৫ এপ্রিল তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। 

পরে শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১২টা ২০মিনিটে রাজধানীর শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী সারাহ বেগম কবরী। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর। তিনি এক ছেলে এবং অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী রেখে গেছেন।

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন