কেন্দ্রীয়ভাবে লকডাউনে যাবে না ভারত সরকার

ভারতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একদিনে মারা গেছে দুই হাজার ২১ জন। যা দেশটির করোনা মহামারির ইতিহাসে রেকর্ড। সংক্রমণ হারও আকাশচুম্বী। একদিনে রেকর্ড প্রায় দুই লাখ ৯৫ হাজার মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে মারণ ভাইরাসটি। ভারতে করোনায় এখন পর্যন্ত মোট মারা গেছে এক লাখ সাড়ে ৮২ হাজার জন। শনাক্ত এক কোটি ৫৬ লাখের বেশি মানুষ।

শুধু মহারাষ্ট্র রাজ্যেই একদিনে করোনা মিলেছে ৬২ হাজারের বেশি মানুষের শরীরে। মারা গেছে ৫১৯ জন, যা সেপ্টেম্বরের পর রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

এদিকে, মঙ্গলবার রাজধানী নয়াদিল্লিতে করোনায় মারা গেছে রেকর্ড ২৭৭ জন। সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ২৮ হাজারের ওপর। এছাড়াও ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, কর্ণাটক, গুজরাটসহ আরও ছয়টি রাজ্যে একদিনে শতাধিক সংখ্যক করে মারা গেছে।

ভারতে গেল এক সপ্তাহ ধরে সংক্রমণ প্রতিদিনই আগের দিনের রেকর্ড ভাঙছে। তবে, রেকর্ড মৃত্যু আর সংক্রমণ হলেও কেন্দ্রীয়ভাবে লকডাউনের কথা ভাবছে না সরকার। মঙ্গলবার জাতির উদ্দেশে দেওয়া জরুরি ভাষণে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, মহামারির সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় লড়ছে ভারত। কিন্তু লকডাউন কোনো সমাধান হতে পারে না। নিজেদের সতর্ক হতে হবে। সচেতনতা ও সাবধানতাই পারে করোনা থেকে বাঁচাতে।

নরেন্দ্র মোদি আরো বলেন, যে কোনো মূল্যে পুরো দেশে লকডাউন আরোপ করা ঠেকাতে হবে। রাজ্য সরকারদেরও বলেন, করোনার বিস্তার মোকাবিলায় লকডাউনকে সবশেষ বিকল্প রাখুন। বরং, ছোট-ছোট এলাকায় কড়াকড়ি আরোপে গুরুত্ব দিতে হবে। সেকেন্ড ওয়েভে ভয়াবহ অক্সিজেন সংকটের মুখোমুখি বহু হাসপাতাল। কেন্দ্র, রাজ্য এবং বেসরকারি খাতের সহযোগিতায় তার সমাধানের সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে।

এসএন