আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা বয়স্কদের বেশি সুরক্ষা দেবে: ইএমএ

অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনাভাইরাসের টিকা বয়স্কদের বেশি সুরক্ষা দেবে বলে জানিয়েছে ইউরোপীয় ওষুধ সংস্থা (ইএমএ)। সংস্থাটি দাবি করেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকায় সুরক্ষার দিকটাই এখনও বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউরোপীয় কমিশনের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে ইএমএ অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে প্রাপ্ত ফলাফল প্রকাশ করেছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়ার পর রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনায় সতর্কতার অংশ হিসেবে কয়েকটি দেশ এই টিকা প্রবীণদের দেয়া স্থগিত করেছে। তারপরই ইউরোপীয় কমিশন ওই তথ্য জানতে চায়।

নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামভিত্তিক ইএমএ এক বিবৃতিতে বলেছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা গ্রহীতার বয়স যত বেশি, এই টিকার সুফল তত বেশি পাওয়া যায় বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। শুধু তা-ই নয়, এই টিকা নিয়ে যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে, তার তুলনায় প্রাপ্তবয়স্ক সব বয়সীর ক্ষেত্রে এর সুরক্ষার হার অনেক বেশি। তবে বিবৃতিতে এও বলা হয়, খুবই অল্প ক্ষেত্রে টিকা নেয়ার পর রক্তে প্লাটিলেট কম থাকার কারণে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনাও ঘটেছে।

গত ৭ এপ্রিল ইএমএ বলেছিল, অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে খুবই কম ক্ষেত্রে রক্ত জমাট বাঁধার ঘটনা লক্ষ করা গেছে। এরপরই এই টিকার ওপর অনেকের আস্থা টলে যায়। তবে শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকাই নয়, জনসন অ্যান্ড জনসনের টিকায়ও খুব কম ক্ষেত্রে একই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের একটি গবেষণায় দেখা গেছে- অ্যাস্ট্রাজেনেকা অথবা ফাইজারের যেকোনো একটি টিকার প্রথম ডোজ নেয়ার পর করোনাভাইরাসে সংক্রমণের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। অন্য সব বয়সীদের মতো ৭৫ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রেও টিকা দুটি একইভাবে কাজ করে

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন