আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

প্রবাসীদের জন্য ১৪ দিনের পরিবর্তে ৫ দিনের কোয়ারেন্টিনের সিদ্ধান্ত

মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে আগত প্রবাসীদের সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের পরিবর্তে পাঁচ দিনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। 

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ের এক জরুরি ভার্চুয়াল সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ ছাড়াও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।  

সভা থেকে জানানো হয়, লকডাউন চলাকালে বিশেষ ফ্লাইটে বিদেশফেরতদের চাপ বাড়ছে। অনেকেই হোটেলে থাকতে চান না। তারা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যেতে চান। ফলে যাত্রীদের চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। তাই কোয়ারেন্টিনের সময় ১৪ দিনের বদলে পাঁচ দিন করার চিন্তা করা হচ্ছে।

একই সঙ্গে ঘোষণা করা হয়, প্রবাসীরা সরকারি কোয়ারেন্টিন সেন্টারের পাশাপাশি চাইলে সরকার নির্ধারিত হোটেলেও কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারবেন।

সভায় গৃহীত অন্যান্য সিদ্ধান্তগুলো হলো- 

১। দেশে আটকেপড়া কুয়েত ও বাহরাইনের কর্মীদের দ্রুত দেশটিতে ফেরাতে এই দুই রুটে চলাচলকারী বাণিজ্যিক ফ্লাইটকে বিশেষ ফ্লাইটে রূপান্তর ও প্রবাসীদের সেখানে পাঠানো।

২। ভারতে আটকেপড়া বাংলাদেশিরা স্থলবন্দর দিয়েও দেশে আসতে পারবেন। তবে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন তাদের ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করবে।

৩। আগত প্রবাসীদের যাদের করোনার টিকার দুটি ডোজ নেওয়া এবং করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে তারা সরাসরি ১৪ দিনের হোম কোয়ারেন্টিনে যাবেন, যা নিশ্চিত করবে স্থানীয় প্রশাসন।

৪।  আগত প্রবাসীদের যাদের করোনার টিকার একটি অথবা কোনো ডোজই নেওয়া নেই কিন্তু করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট আছে, তাদের প্রাথমিকভাবে ৩ দিনের বাধ্যতামূলক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের পর পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এলে পরবর্তী ১১ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে যেতে পারবেন; যা নিশ্চিত করবে স্থানীয় প্রশাসন।

৫। রাজধানীর উত্তরায় অবস্থিত ব্র্যাকের ট্রেনিং সেন্টার দ্রুততম সময়ে ৬০০ সিটের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিন সেন্টার এবং পরবর্তী সময়ে ৪০০০ সিটের কোয়ারেন্টিন সেন্টারে রূপান্তর করবে স্বশস্ত্র বাহিনী।

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী ‘সর্বাত্মক লকডাউন’ চলছে। ঘোষিত এই লকডাউনে জরুরি সেবা ছাড়া দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, গণপরিবহনসহ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলোও বন্ধ করা হয়। তবে প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে দুই দিন পরই বিশেষ ফ্লাইট চালুর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন