কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা আজ পালিয়ে বেড়াচ্ছেন: ডা. জাফরুল্লাহ
দেশের কৃষক-শ্রমিক-ছাত্র-জনতা আজকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। বাঁশখালীর শ্রমিক হত্যাকাণ্ড তো একটি মাত্র ঘটনা। এ চিত্র আমরা আগেও দেখছি। আবার পুনরায় দেখতে গিয়েছিলাম। বললেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।
‘বাঁশখালীতে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডি নগর হাসপাতালে সংবাদ সম্মেলন ও প্রতিবাদ সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ডা. জাফরুল্লাহ আরও বলেন, ‘জনগণ যখন কথা বলতে পারে না, তখন এটি প্রমাণিত হয় যে, আমাদের উন্নতি কোন পর্যায়ে আছে। প্রধানমন্ত্রী আপনার পিতার হত্যার ঘটনায় আমরা মর্মাহত। কিন্তু সেই হত্যার পেছনে একটি ঘটনা দায়ী ছিল। ১৯৭৪ সালের অনাহারে দেশে তিন লাখ মানুষ মারা গিয়েছিলেন। এখন বাংলাদেশে অনাহারী নেই, কিন্তু কৃষক-শ্রমিক অর্ধাহারে আছেন।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘তারা (শ্রমিক) ক্ষুধা নিবারণ করার জন্য সামান্য মাত্র দুই ঘণ্টা কম পরিশ্রম করার দাবি করেছিলেন। তাও আবার রোজার দিনে। তারা বেতনও বাড়াতে বলেননি। দুই ঘণ্টা বিশ্রাম চাওয়ায় তাদের জীবন একেবারে স্তব্ধ হয়ে গেছে। এটাই আমরা দেখেছি।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘বাঁশখালীর বিদ্যুৎকেন্দ্রে কাজ পাওয়ার জন্য শ্রমিকদের পাঁচ হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। বাংলাদেশে এখন এমন কোনো কাজ নেই যা ঘুষ ছাড়া হয়।’
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আরও বলেন, ‘সেখানকার শ্রমিক ও মানুষ আমাকে একবারও বলেননি কারা শ্রমিকদের মেরেছে। পুলিশ মেরেছে নাকি তাদের সঙ্গে থাকা সরকারের গুন্ডাবাহিনী মেরেছে। তবে মেরেছে, গুলি শ্রমিকের এক পাশ দিয়ে ঢুকে আরেক পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে।’
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘আজকে সবার কণ্ঠস্বর রুদ্ধ। কেউ কথা বলতে পারছেন না। পুলিশও না। মিথ্যাচার আজকে আমাদের ধর্ম হয়ে গেছে। আজকে সেই জন্য আমরা প্রথমে দাবি করেছি, একজন নিরপেক্ষ সাহসী বিচারপতিকে দিয়ে শ্রমিক হত্যার বিচারবিভাগীয় তদন্ত করা হোক।’
শেখ সোহান