যা আছে মুনিয়ার সুরতহাল রিপোর্টে
রাজধানীর গুলশানে অভিজাত ফ্ল্যাট থেকে কলেজ ছাত্রী মোসারাত জাহান মুনিয়ার লাশ উদ্ধারের ঘটনার এখনো কোনো কূল-কিনারা হয়নি। তাকে ধর্ষণ কিংবা বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে সুপারিশ করা হয়েছে সুরতহাল রিপোর্টে।
মুনিয়ার মৃত্যুর পর বুধবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন তার সুরহতাল রিপোর্ট তৈরী করেন।
সুরতহাল রিপোর্ট শামীম হোসেন লিখেছেন, মুনিয়ার বয়স ২৩ বছর। গায়ের রং ফর্সা। লম্বা অনুমান ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি। মাথার চুল লম্বা অনুমান ১২ ইঞ্চি। চুলের রং বাদামি। মুখমণ্ডল গোলাকার, নাক স্বাভাবিক, চোখ দুটি বন্ধ, জিহবা মুখ থেকে আধা ইঞ্চি বাহিরে, দাঁত দিয়ে কামড়ানো, দুইটি দাঁত দেখা যায়। জিহবা দিয়ে সামান্য লালা বের হয়েছে। গলার বামপাশে অর্ধচন্দ্রাকৃতি গভীর কালোদাগ রয়েছে। হাত দুটি শরীরের সঙ্গে লম্বালম্বি অর্ধমুষ্টি।
সুরতহাল প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হত্যার আগে ভিকটিম ধর্ষিত হয়েছে কি না তা জানার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। বিষ প্রয়োগ করা হয়েছিল কি না তাও তদন্তের আওতায় আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
শামীম হোসেন হোসেন বলেন, ভিকটিম ধর্ষিত হয়েছে কিনা, ধর্ষিত হলে ডিএনএস সংগ্রহ, ভিকটিমকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে কিনা এবং ভিকটিমের মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ বিভাগীয় প্রধান ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল বরাবর পাঠানো হয়েছে।
সুরতাহল প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই হয় ময়নাতদন্ত। এরই মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষ হলেও এখনো প্রতিবেদন আসেনি।
এস