আর্কাইভ থেকে অপরাধ

সিটি করপোরেশনের আবর্জনা সংগ্রহকারীদের বড় অংশই শিশু

দেশের প্রচলিত আইনে শিশু শ্রম নিষিদ্ধ হলেও, খোদ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের আবর্জনা সংগ্রহকারীদের বড় অংশই শিশু। রাজধানীর বর্জ্য সংগ্রহে ব্যবহার করা হচ্ছে কোমলমতি এ শিশুদের। অথচ এ শিশুদের থাকার কথা পাঠ্যপুস্তকের মাঝে।

অল্প বেতন দিয়ে অধিক মুনাফার লোভে এ কাজ করছে দায়িত্বপ্রাপ্ত ক্লিনিং সার্ভিসগুলো।

নগরীর আবর্জনা সংগ্রহকারীদের বড় অংশই শিশু। কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজ করছে কোমলমতি শিশুরা। অভাবের কারণে এসব শিশু বিদ্যালয়মুখী না হয়ে শ্রম দিচ্ছে ক্লিনিং সার্ভিসগুলোতে। আর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোও স্বল্প মজুরি দিয়ে ইচ্ছে মতো কাজ করিয়ে নিচ্ছে তাদের দিয়ে। এক্ষেত্রে নিয়মনীতির ও তোয়াক্কা করা হয় না।

শিপন নামে একজন শিশু শ্রমিক জানায়, আমরা দুই ভাই। মালিক আমাকে প্রতি মাসে চার হাজার টাকা দেয়। আরেক শিশু শ্রমিক জানায়, আমি আগে পুতুলের কাজ করতাম। এখন সিটি করপোরেশনের কাজ করি।

 

অন্যদিকে অনিয়ম বন্ধ করতে নগর কর্তৃপক্ষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করলেও বর্জ্য অপসারণে শিশু শ্রম বন্ধের ক্ষেত্রে নিশ্চুপ তারা।

এই বিষয় নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরশেদ বলেন, বর্জ্য সংগ্রহের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের নিয়োগ বন্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা নিতে হবে।

এ আইনজীবী আরও বলেন, অর্থ সাশ্রয়ের মাধ্যমে তারা শিশু শ্রমিক নিয়োগ দেয়। যা সম্পূর্ণ অবৈধ কাজ। এছাড়াও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে শিশু শ্রম বন্ধ করা যায়। তবে শিশু শ্রম কমার পর ওই শিশুকে তার স্বাভাবিক যে প্রক্রিয়া তা কিন্তু দিতে হবে।

এছাড়াও শিশুদের এমন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ-দানকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি বিশেষজ্ঞদের।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন