আর্কাইভ থেকে ইউরোপ

স্পেনে করোনার মধ্যেই ষাড়ের লড়াই

স্পেনে করোনাভাইরাসের মধ্যেই শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বুল ফাইট বা ষাড়ের লড়াই। রোববার রাজধানী মাদ্রিদের লা ভেন্তা রিংয়ে এ আয়োজন করা হয়। ম্যাটাডোর আর উন্মত্ত ষাঁড়ের লড়াইয়ে জমজমাট পুরো ভেন্যু।

তবে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ধারণক্ষমতার মাত্র ৪০ শতাংশ বা ছয় হাজার দর্শনার্থীকে প্রবেশের অনুমতি দেয় প্রশাসন। গেল বছর করোনার কারণে বন্ধ থাকে আয়োজন। এক বছরের বেশি সময় পর রিংয়ে ফেরে বিখ্যাত সব ম্যাটাডররা। তাদের সবাইকে স্বাগত জানানো হয়। ৭টি ষাঁড়ের সঙ্গে লড়াই করে তারা।

স্পেনে সাধারণত এপ্রিল-মে থেকে শুরু হয়ে অক্টোবর পর্যন্ত ষাঁড়ের লড়াইয়ের ভরা মৌসুম। তবে করোনার কারণে দেশজুড়ে লকডাউনে একেবারেই হয়নি বুল ফাইটের আয়োজন। এতে কাজ হারায় বুলফাইটার ও পেশাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। মূলতঃ মহামারিতে চাকরি হারানো বুলফাইটার এবং পেশাটির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের অর্থ-সহায়তার জন্যেই এই আয়োজন।

লড়াইয়ের জন্য ষাঁড় লালন পালন করলেও কসাইখানায় বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে খামারিরা। ৪/৫ বছর ধরে একটি ষাড়ের পেছনে ব্যয় হয় প্রায় পাঁচ হাজার ইউরো। অথচ বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫শ’ ইউরোয়।

এক খামারি বলেন, একটি ষাড়কে লড়াইয়ের উপযোগী করে গড়ে তোলা অনেক ব্যয়সাপেক্ষ। হয়তো আমাদের চেয়ে বেশি যত্ন নেয় না পশুপ্রেমীরাও। আরও অনেক বিপন্ন প্রাণী আছে। হাজার বছরের সংস্কৃতির বিরোধিতা আর বহু পরিবারের উপার্জনের পথ বন্ধ না করে পশুপ্রেমীদের সেগুলোর খোঁজ নেওয়া উচিত।

আগেই স্থানীয় সরকারের অনুদান বন্ধ হয়েছিল। পশুপ্রেমীদের বিরোধিতা তো আছেই। এখন করোনার আঘাতে টিকে থাকাই দুষ্কর হয়ে পড়েছে স্পেনের ঐতিহ্যবাহী এই খেলার।

অবশ্য রক্তক্ষয়ী প্রদর্শনীর ব্যাপারে দ্বিধাবিভক্ত স্প্যানিয়ার্ডরা। কেউ কেউ বুল ফাইটকে শিল্পকলা হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকে। আবার অনেকের কাছে খেলাটি খুবই মর্মান্তিক।

২০১০ সালে বুলফাইটকে মধ্যযুগীয় বর্বরতা আখ্যা দিয়ে নিষিদ্ধ করে স্পেনের স্বায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চল কাতালুনিয়া। সিদ্ধান্ত কার্যকর হয় দুই বছর পর।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন