আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

ভারতে করোনা শনাক্তের বিশ্ব রেকর্ড

আবারো করোনাভাইরাসের রেকর্ড সংক্রমণ দেখলো ভারত। গেল ২৪ ঘণ্টায় দেশটির চার লাখ ১৫ হাজারের মতো মানুষের শরীরে মিলেছে ভাইরাসটি। এটি করোনা মহামারির ইতিহাসে বিশ্বরেকর্ড।

এর আগে বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্তের রেকর্ড যুক্তরাষ্ট্রের। দেশটিতে গেল আট জানুয়ারি বিশ্বের সবোর্চ্চ আক্রান্ত শনাক্ত হয় তিন লাখ তিন হাজার ৯২৪ জন। কিন্তু গেল ২৪ ঘন্টায় সেই ভয়াবহতাকে পার করলো ভারত। আক্রান্তের দিক থেকে দ্বিতীয় এবং মৃত্যুতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি।

বৃহস্পতিবার করোনায় মৃত্যু হয়েছে আগের দিনের কাছাকাছি। এদিন, দেশটিতে মারা গেছে তিন হাজার ৯২০ জন। অবশ্য একদিনে আগে সে সংখ্যাটি আরো বেশি ছিলো, তিন হাজার ৯৮২ জন এবং তারও একদিন আগে সর্বোচ্চ মৃত্যু ছিল তিন হাজার ৭৪২ জন। এ নিয়ে ভারতে মোট মৃত্যু ছাড়িয়েছে দুই লাখ ৩৪ হাজার। শনাক্ত প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ।

গেল ৩০ এপ্রিল ২৪ ঘণ্টায় চার লাখ দুই হাজারের বেশি মানুষের করোনা শনাক্তের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো চার লাখের রেকর্ড করে ভারত।

এদিকে, বৃহস্পতিবার মহামারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় জরুরি ভিত্তিতে দিল্লিকে প্রতিদিন ৭শ’ টন অক্সিজেন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রয়োজনের অর্ধেক অক্সিজেন পাওয়ার অভিযোগ করার পর কেন্দ্রকে এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের অভিযোগ, সরবরাহ নয় বিতরণে সমস্যার কারণেই অক্সিজেন সংকট তৈরি হয়েছে দিল্লিতে।

করোনা বাড়ছে পশ্চিমবঙ্গে। সংক্রমণের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজ্যটি। গবেষকরা বলছে, পশ্চিমবঙ্গে মাত্র শেষ হওয়া বিধানসভা নির্বাচনের কারণেই করোনার ভ্যারিয়েন্টগুলো দ্রুত ছড়িয়েছে।

করোনা ভয়াবহ হচ্ছে গোয়ায়ও। দেশটির গবেষকরা বলছে, গেলো দুই সপ্তাহের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী ভাইরাসটি সবচেয়ে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত সক্রিয় পর্যটন নগরী গোয়ায়। সেখানে দ্রুত বিস্তার লাভ করছে করোনা। এরপরই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ভাইরাসটি সক্রিয় ২১ শতাংশ পর্যন্ত।

ভারতে এতো সংক্রমণের মধ্যেও মানুষের যাতায়াত, জনসমাগম থেমে নেই। চলছে রাজনীতিক কর্মসূচি, ধর্মীয় উৎসবও।

এ পরিস্থিতিতে ভারতে টিকাদান কর্মসূচির আরো ধীরগতির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। দেশটিতে এখনো তিন শতাংশ মানুষের টিকা সম্পন্ন হয়নি। টিকাদান কর্মসূচি দ্রুত বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন