আর্কাইভ থেকে এশিয়া

আবারো আল-আকসায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা; আহত ৮০

পূর্ব জেরুজালেমের পবিত্র আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে আবারও ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৮০ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে এক বছরের শিশুসহ ১৪ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে পবিত্র আল আকসা মসজিদে এশার নামাজের পর সংঘর্ষ শুরু হয়।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, শনিবার রাতে মাহে রমজানের পবিত্র ভাগ্যরজনী লাইলাতুল কদরে আল আকসায় নামাজ আদায় করতে যায় হাজার হাজার মুসল্লি। এসময় বাইরে ব্যারিকেড তৈরি করে সশস্ত্র অবস্থান নেয় ইসরায়েলের দাঙ্গা পুলিশ। নামাজের পর ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের সংঘর্ষ হয়।

এ সময় একদিন আগেই হয়ে যাওয়া ইসরায়েলি তাণ্ডবের প্রতিবাদ জানায় ফিলিস্তিনি তরুণরা। পুলিশকে লক্ষ্য করে অনেকে পাথর ছোড়ে। ব্যারিকেড সরিয়ে অগ্নিসংযোগও করে বিক্ষোভকারীরা।

রয়টার্সকে জেরুজালেমের পুরনো নগরী এলাকার দামেস্ক ফটক অঞ্চল থেকে তরুণ ফিলিস্তিনি মাহমুদ আল-মারবুয়া বলেন, ইহুদিবাদীরা আমাদের নামাজ আদায় করতে দিতে চায় না। প্রতিদিনই লড়াই-সংঘর্ষ হচ্ছে। প্রতিদিনই বাধা দিচ্ছে তারা।

ইসরায়েলি পুলিশের কথা বলতে গিয়ে ২৭ বছরের তরুণ আরো বলেন, দেখুন, আমাদের ওপর গুলি ছুঁড়ছে তারা। আমরা কী করে বাঁচব।

ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা জানান, শুক্র ও শনিবারের সহিংসতা পরবর্তী পর্যায়ে না গড়ানোর লক্ষ্যে উভয়পক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করছে মিসর।

এদিকে, ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যাকায় ইসরায়েলি সীমান্তে জড়ো হয়েছে স্থানীয়রা। সীমান্তে দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের ওপর জ্বলন্ত টায়ার ও আগুনের ঝিল্লি ছোড়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর দাবি, গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী অন্তত একটি রকেট ছুঁড়েছে। যা ইসরায়েলের ভেতরে ফাঁকা জায়গায় পড়েছে। জেরুজালেমের পাশাপাশি দখলকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য বাড়ানোর কথা জানিয়েছে ইসরায়েল।

জেরুজালেমে ইহুদি দখলদারদের ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদকে ঘিরে চলমান উত্তাপের মধ্যেই পবিত্র রমজান আসে। রমজান মাসের শুরু থেকেই অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে জেরুজালেমের পরিস্থিতি।

এর আগে, শুক্রবার রমজানের শেষ জুমা অর্থাৎ জুমাতুল বিদা উপলক্ষে মুসলমানদের প্রথম কিবলা বাইতুল মুকাদ্দাস বা আল-আকসা মসজিদে নামাজের জন্য জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি পুলিশ। তাদের লক্ষ্য করে জলকামান রাবার বুলেট, ও স্টান গ্রেনেড ছোড়ে ইহুদি পুলিশ। ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার গুলিতে আহত হয় দুশোর বেশি ফিলিস্তিনি। জবাবে পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ে ফিলিস্তিনি তরুণরা। এতে গোটা মসজিদ এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

আল-আকসা মসজিদ সংলগ্ন টেম্পল মাউন্ট প্লাজা ইহুদিদের পবিত্র স্থান। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলিদের দ্বন্দ্ব-সংঘাতে চলছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন