আর্কাইভ থেকে ব্যাংকিং ও বীমা

ব্যাংক খোলা ১২ মে পর্যন্ত, গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়

ঈদের আগের দিন সাধারণত ব্যাংক বন্ধ থাকে। কিন্তু এবার একটু ব্যতিক্রম। ঈদ ১৩ মে হলেও তার আগের দিনও (১২ মে) ব্যাংক খোলা থাকবে। ফলে ঈদের আগে আরও দুই দিন মঙ্গলবার (১১ মে) ও বুধবার (১২ মে) ব্যাংক খোলা থাকছে।  

এ দিকে ঈদের আগে তৈরি পোশাক শিল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য এবং রফতানি বাণিজ্য অব্যাহত রাখতে ঢাকা মহানগরী, আশুলিয়া, টঙ্গী, গাজীপুর, সাভার, ভালুকা, নারায়ণগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবস্থিত ব্যাংক শাখা ১০ মে এবং ১৪ মে ঈদ সাপেক্ষে ১৩ মে খোলা রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এমনিতেই আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকদের উপচে পড়া ভিড়। রোববারও (৯ মে) সকাল ৯টা থেকেই বিভিন্ন ব্যাংকে প্রবেশের জন্য লাইন ধরে দাঁড়িয়ে রয়েছেন গ্রাহকরা। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে লাইনও দীর্ঘ হয়। এ কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভেতরে তাদের সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। 

ব্যাংক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঈদকেন্দ্রিক গ্রাহকদের উপস্থিতি বেশি। গ্রাহকের বেশির ভাগই নগদ টাকা উত্তোলনের জন্য ব্যাংকে এসেছেন। ঈদ যেদিনই হোক, আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ মে ব্যাংক বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এ দিকে মতিঝিল ইসলামী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘সময় যত গড়াচ্ছে, গ্রাহকের চাপ ততই বাড়ছে। অধিকাংশ গ্রাহকই এসেছেন টাকা তোলার জন্য।’ সকাল ১০টা থেকেই গ্রাহকদের প্রচণ্ড চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান তিনি।

এ দিকে মতিঝিল ছাড়াও গুলশান, ধানমন্ডিসহ বিভিন্ন এলাকার চিত্র ছিল একই। তবে চাপ কম এটিএম বুথগুলোতে। মহাখালী এলাকার বেসরকারি সিটি ব্যাংক গ্রাহক আলী হোসেন বলেন, ‘আমি সকাল ৯টার দিকে লাইনে দাঁড়িয়েছি। বেলা ১১টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। তবু অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গ্রাহকের কথা চিন্তা করে আগামী মঙ্গল ও বুধবার ব্যাংক খোলা থাকবে।’ সোমবার (১০ মে) পবিত্র শবে কদরের জন্য ব্যাংক বন্ধ থাকবে। তবে ১৩ মে যদি ঈদ হয়, সে ক্ষেত্রে বুধবার (১২ মে) কেবল পোশাক শিল্প ও রফতানি সংশ্লিষ্ট লেনদেন হয়, এমন সব ব্যাংক শাখা খোলা থাকবে

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন