আফগানিস্তানে বোমা বিস্ফোরণে নিহত বেড়ে ৬৮
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের একটি স্কুলের সামনে গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৮। শনিবারের এ বিস্ফোরণে নিহতদের বেশিরভাগই স্কুলছাত্রী। আহত হয়েছে দেড় শতাধিক। এ ঘটনায় মঙ্গলবার জাতীয় শোক ঘোষণা করেছে ঘানি সরকার।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, নাম না প্রকাশ করার শর্তে আফগানিস্তানের একজন ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হতাহতদের বেশিরভাগই সায়েদ উল শুহাদা স্কুলের শিক্ষার্থী। তারা স্কুল থেকে বের হওয়ার সময় বিস্ফোরণটি ঘটে। হাসপাতালে আহত অনেকের অবস্থাই গুরুতর। স্বজনদের আহাজারিতে ভরে উঠেছে হাসপাতালগুলো।
আফগানিস্তানের টোলোনিউজ টেলিভিশন চ্যানেলের ফুটেজে দেখা গেছে, স্কুলটির সামনে রক্তস্নাত রাস্তায় বই ও স্কুল ব্যাগ পড়ে আছে। হতাহতদের উদ্ধারে সেখানে জড়ো হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
হামলার দায় এখনো কেউ স্বীকার করেনি। তবে এর জন্য তালেবান বিদ্রোহীদের দায়ী করেছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তবে তা প্রত্যাখ্যান করেছে তালেবান। তালেবান বলছে, বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলা চালায় না তারা।
এরই মধ্যে নিহতদের দাফন হয়েছে। স্বজনরা বলছে, এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের পাশাপাশি শান্তি চায় তারা। এক স্বজন জানান, আমার ভাতিজি কোনদিন স্কুল কামাই দিতো না। হামলার দিন তার মা বলেছিল, স্কুলে না যেতে। কিন্তু সে কথা শোনেনি। খুব বুদ্ধিমতি আর ভালো ছাত্রী ছিল। এই কষ্ট বলে বোঝানো যাবে না।
স্বজনদের আরো অভিযোগ, নিরাপত্তা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ সরকার। আমরা শান্তি আর নিরাপত্তা চাই। সরকার বা বিদেশি শক্তি, কেউই তা দিতে পারেনি। সংঘাত আর সহিংসতায় আমাদের জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে তিনদিনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে তালেবান। সম্প্রতি ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে মার্কিন সেনারা আফগানিস্তান ছেড়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বেড়ে গেছে হামলার মাত্রা।
এসএন