আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ঈদকে কেন্দ্র করে শিমুলিয়ায় জনস্রোত

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দেশের দক্ষিণবঙ্গের ঘরমুখী মানুষের ঢলে জনসমুদ্রে রূপান্তরিত হয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে। গণপরিবহন বন্ধ ও বিজিবি মোতায়েন করে কয়েকটি চেকপোস্ট বসিয়েও লোকজনকে এবার আটকে রাখা যায়নি। সব বাধা উপেক্ষা করেই বাঁধভাঙা স্রোতের মতো শিমুলিয়া ঘাটে ছুটছে মানুষ। 

আজ বুধবার (১২ মে) সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিমুলিয়া ফেরিঘাট আর কখনো এত মানুষকে একত্রে পায়নি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই ভিড় আরও বাড়ছে।

সরেজমিন ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, জনস্রোত সামলাতে শিমুলিয়া ঘাটে বসানো হয়ছে চেকপোস্ট। দায়িত্ব পালন করছেন বিজিবি সদস্যরা। তারপরও মানুষের ঢল থেমে নেই। সরকারি বিধিনিষেধ অমান্য করার কারণ হিসেবে নানা যুক্তি দেখাচ্ছেন ঘরমুখী যাত্রীরা। তাদের সবার লক্ষ্য, যেভাবে হোক বাড়ি যেতে হবে। ফেরিঘাটের আশপাশে থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই জেলে নৌকাসহ ট্রলারে যাত্রীরা পদ্মা পার হওয়ার চেষ্টা করছেন। লোকজন ট্রাকে, পিকাপে এবং ড্রাম ট্রাকে করে গায়ে গায়ে ভিড় করে রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে। চেকপোস্টে নামিয়ে দেওয়ার পর হেঁটে ফেরিঘাটে যাচ্ছেন তারা। আবার চেকপোস্ট এড়িয়ে যেতে বিকল্প ছোট ছোট সড়ক ব্যবহার করছে। সেই সঙ্গে মোটরসাইকেলেও ঘাটে যাচ্ছেন হাজার হাজার মানুষ। 

ফেরি ছেড়ে দিচ্ছে তারপরও ঝুঁকি নিয়েই ওঠার প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন অনেকে। গতকাল মঙ্গলবার (১১ মে) রাতেও ফেরিঘাটের একই অবস্থা ছিল। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, লোকজনের এত স্রোত যে গত রাত ৯টা থেকে মানুষের চাপে ফেরিতে গাড়িই উঠতে পারছিল না।

বিআইডব্লিউটিসির এজিএম মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ঈদের মাত্র এক দিন বাকি। তাই চাপ প্রবলভাবে বেড়েছে। অবস্থা এমন যে, স্বাস্থ্যবিধি তো দূরের কথা নিয়মকানুন কিছুই মানতে চাচ্ছে না কেউ। এই রুটে সচল ১৫টি ফেরিই চলাচল করছে এখন। 

জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার জানিয়েছেন, ঢল থামানো যাচ্ছে না। তাই সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সাধ্যমতো চেষ্টা চলছে।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন