আর্কাইভ থেকে এশিয়া

ইরানে আবারো নির্বাচন করছেন আহমেদিনেজাদ

আবারও ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদ। চলতি বছরের জুনে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। বুধবার নিজের নাম নিবন্ধন করেছেন ইরানের সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।

দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের উদ্বৃতি দিয়ে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার সমর্থক বেষ্টিত হয়ে নির্বাচনের ফরম পূরণের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে যান তিনি। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজের কট্টরপন্থী অবস্থান পাল্টানোর চেষ্টা করেছেন বলে জানা গেছে।

প্রার্থী তালিকায় নাম লেখানোর পর আহমাদিনেজাদ বলেন, ইরানের সিদ্ধান্ত-নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ থাকা উচিত। একটি মৌলিক পরিবর্তনের জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

২০১৭ সালে আহমেদিনেজাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তবে এবার নির্বাচনের জন্য নিবন্ধনে সমর্থ হয়েছেন আহমেদিনেজাদ।

এদিকে, কোনো প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাধা হয়ে দাঁড়াবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন খামেনি। তবে চাইলে আহমেদিনেজাদের প্রার্থিতা আটকে দিতে পারে নির্বাচনী কাউন্সিল।

আগামী ১৮ জুন ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল মঙ্গলবার থেকে তাদের নাম নিবন্ধন করতে শুরু করেছে প্রার্থীরা। শনিবার প্রার্থী নিবন্ধন শেষ হবে। ১২ সদস্যের গার্ডিয়ান কাউন্সিল পরবর্তীতে রাজনৈতিক ও ইসলামী বৈশিষ্ট্য বিবেচনায় নিয়ে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করবে। এই কাউন্সিলের ছয় সদস্যকে নিয়োগ দিয়েছেন আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। এবারের নির্বাচনে ছয় জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গে পরমাণু চুক্তি এবং পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নীতি গুরুত্ব পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ নির্বাচনকে দেশটির ধর্মতাত্ত্বিক শাসন ব্যবস্থার জন্য পরীক্ষা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এছাড়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় জর্জরিত ইরানের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকট মোকাবিলায় গণভোট হিসেবে দেখা হবে।

পাশ্চাত্যে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখা হয়েছে আহমাদিনেজাদকে। ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে তাঁর বক্তব্য ছিল আগ্রাসী। সাদামাটা জীবন যাপনের জন্য সবার শ্রদ্ধার পাত্র হয়ে আছেন তিনি।

২০১৩ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ান আহমাদিনেজাদ। ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করেন পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি।

২০১৮ সালে খামেনিকে লেখা এক চিঠিতে নির্বাহী, পার্লামেন্ট ও বিচারবিভাগ এই তিন বিভাগে সরকারের মৌলিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছিলেন আহমাদিনেজাদ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন