আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

করোনা বিধিনিষেধ শিথিলের দ্বারপ্রান্তে ব্রিটেন, চোখ রাঙাচ্ছে ভারতীয় ধরন

আগামী ২১ জুন লকডাউন শিথিলের পরিকল্পনা নিয়েছে ব্রিটেন। এতে করোনার ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্ট বা ধরন গুরুতর ব্যাঘাত ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি বলেছেন, ভারতীয় ভ্যারিয়্যান্টটি উল্লেখযোগ্য হারে সংক্রামক বলে প্রমাণিত হলে কিছু কঠোর সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, ব্রিটেনের এখনকার তথ্যের ভিত্তিতে বরিস জনসন মনে করছেন, আগামী সোমবার লকডাউনে যে কিছু শিথিলতা আনা হচ্ছে তাতে পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়েছে। সোমবার থেকে ব্রিটেনে পানশালা ও রেস্তোরাঁ খুলে যাচ্ছে। বাসাবাড়িতে ছয়জন বা দুই বাড়ির মানুষ মেলামেশা করতে পারবে। 

তবে, সতর্কতা বার্তাও দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, আপনাদের এটাও জানিয়ে রাখতে হচ্ছে, ব্রিটেনের উন্নতির পথে গুরুতর ব্যাঘাত ঘটাতে পারে করোনার নতুন ভ্যারিয়্যান্ট। এটি আগামী জুনে চতুর্থ ধাপে উন্নীত হওয়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠতে পারে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী আরো যোগ বলেন, আমি সবাইকে কঠোর সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানাচ্ছি। কারণ, আমরা সামনের দিনগুলোতে যেভাবে চলব তার ওপর আমাদের সামনের পথটা কেমন হবে তা নির্ভর করবে।

জনসন বলেছেন, আমি বিশ্বাস করি না আমাদের পরিকল্পনা পিছিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন আছে। তবে আমাদের এই পরিকল্পনায় করোনার নতুন প্রজাতি বাধা হতে পারে। জনগণের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখেই সমস্ত পদক্ষেপ নেব।

ব্রিটেনে করোনা টিকার উপর জনগণকে ভরসা রাখার আহ্বানও জানিয়েছেন জনসন। পঞ্চাশোর্ধ্বদের দ্বিতীয় টিকা দেওয়ার গতি আরও ত্বরান্বিত করার কথা বলেন তিনি।

ধাপে ধাপে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করছে ব্রিটিশ সরকার। আগামী ২১ জুন এর চূড়ান্ত ও শেষ ধাপ কার্যকর হওয়ার কথা রয়েছে। এই ধাপ কার্যকর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘরে বাইরে গণজমায়েতে কোনো বাধা থাকবে না। আবার খুলবে নাইটক্লাব। বিয়ের অনুষ্ঠান আয়োজনে কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।

ব্রিটিশ সরকার আগেই জানিয়েছে, ২১ জুন বিধিনিষেধ শিথিল করার বিষয়টি করোনার টিকার কার্যকারিতা এবং নতুন ভ্যারিয়্যান্টের কারণে ঝুঁকির মাত্রায় কোনো পরিবর্তন না হওয়াসহ কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।

ইতিমধ্যে করোনার ভারতীয় প্রজাতি বি১.৬১৭.২ ছড়িয়ে পড়েছে ব্রিটেনসহ কয়েকটি দেশে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ভারতীয় প্রজাতির ভাইরাস দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ছে উত্তর-পশ্চিম ব্রিটেনে। এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে ব্যবস্থা নিয়েছে ব্রিটেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন