আর্কাইভ থেকে এশিয়া

আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে হামলার প্রত্যয় ইসরায়েলের

ইসরায়েলের গোলাবর্ষণে এখন পর্যন্ত ৩১ শিশুসহ নিহত হয়েছে অন্তত ১৩২ ফিলিস্তিনি। এর জবাবে ইসরায়েলের একাধিক স্থাপনায় রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস। ইসরায়েলি গোলা থেকে বাঁচতে উত্তর গাজায় আশ্রয় নিচ্ছে শত শত ফিলিস্তিনি পরিবার। এদিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বান তোয়াক্কা না করে হামলা আরও জোরদার করার প্রত্যয় জানিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, ইসরায়েলি তান্ডব থেকে রেহাই পায়নি ১৫ মাসের শিশুও। ফিলিস্তিনের ভূমিতে এমন ঘটনা নতুন না হলেও আবারও একই ধরণের নিষ্ঠুরতা দেখেছে বিশ্ববাসী। সোমবার থেকে চলা হামলায় গাজার আবাসিক স্থাপনা ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন লক্ষ্যবস্তু। সেখানে পাঁচ দিনে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৩১টি স্কুলসহ অন্তত ২শ’ ভবন।

মধ্যপ্রাচ্যের এ পরিস্থিতিতে বরাবরের মতো শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘসহ একাধিক আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। জাতিসংঘ মুখপাত্র স্টেফেন ডুজারিক বলেছেন, উভয় পক্ষের চলমান হানাহানি উগ্রপন্থীদের আরও উৎসাহিত করে তুলবে। বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্য হলেও বন্ধ করতে হবে মারণাস্ত্র ব্যবহার।

এদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু বলছেন, ইসরায়েলি ভূমিতে ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়ে হামাস যে ভুল করেছে তার ফিলিস্তিনিদের চড়া মূল্য দিতে হবে। আমাদের হাত থেকে পালিয়ে বাঁচার বৃথা চেষ্টা করে লাভ হবে না।

বিপরীতে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান মনে করেন, ইসরায়েলিদের এমন প্রতাপ ভবিষ্যতে অন্য দেশগুলোর জন্য ঝুঁকির কারণ। শুক্রবার ফিলিস্তিনে সহিংসতা বন্ধের দাবিতে রাজপথে বিক্ষোভ করে গ্রীস, তুরস্ক, জর্ডানসহ কয়েকটি দেশের মুসল্লিরা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন