আর্কাইভ থেকে এশিয়া

গাজায় যতদিন প্রয়োজন হামলা চলবে: নেতানিয়াহু

ফিলিস্তিনে চলমান হামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। ইসরায়েলে রকেট হামলা চালানোর মধ্য দিয়ে হামাস বর্তমান সংঘাতের সূচনা করেছে বলে দাবি করেন তিনি। নেতানিয়াহু বলেন, গাজায় যতদিন প্রয়োজন হামলা অব্যহত থাকবে। তবে এতে হতাহত যতটা কমানো যায় তার সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, শনিবার টেলিভিশন ভাষণে নেতানিয়াহু বলেছেন, এই সংঘাতের জন্য অপরাধবোধে ভোগার কথা ফিলিস্তিনিদের, তারা ইসরায়েলের ওপর হামলার মাধ্যমে এটি শুরু করেছে, আমাদের নয়। আমরা অভিযানের মাঝামাঝি পর্যায়ে আছি, এটা শেষ হয়নি। যতদিন প্রয়োজন অভিযান চলবে।

নেতানিয়াহুর এমন বক্তব্যের পর ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মাত্রা বেড়ে গেছে। চলমান সহিংসতার সপ্তম দিন রোববার সকালেও গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামাস প্রধানের বাড়িতে বোমা মেরে তা উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে অন্তত তিনজন। ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে তেল আবিবে পাল্টা রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস।

গাজা থেকে ইসরায়েলের রাজধানী তেল আবিবে ছোড়া হামাসের রকেট হামলা থেকে বাঁচতে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে হামাস। পক্ষান্তরে আমরা সাধারণ মানুষের মৃত্যু এড়াতে বা কমাতে সম্ভাব্য সব কিছু করছি। শুধু সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করেই হামলা চালানো হচ্ছে।

এদিকে ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের সাম্প্রতিক এই সংঘাত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়। গতকাল শনিবার ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস ও ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে ফোনালাপ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে আজ রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

গাজায় গেল সোমবার থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে মোট ১৪৯ জন ফিলিস্তিনি। এদের মধ্যে ৪১ জন শিশু রয়েছে। অপরদিকে, ইসরায়েলে দুই শিশুসহ নিহত হয়েছে অন্তত ১০ জন।

সম্প্রতি ফিলিস্তিনের জেরুসালেমে আল জাররাহ এলাকা দখল করে নিতে চায় ইসরায়েল। গেল ৭ মে পবিত্র মাহে রমজানে জুমাতুল বিদা আদায় করতে আল-আকসা মসজিদে সমবেত হয় বিপুল সংখ্যক মুসল্লি। তাদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি বাহিনী। মসজিদে ঢুকে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ও টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে তারা।

এর দুইদিন পর শবে কদরেও আল-আকাসা মসজিদে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে মুসল্লিদের সংঘর্ষ হয়। এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ শুরু হয় গাজা সীমান্তে। পরে গেল সোমবার থেকে সেখানে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন