আর্কাইভ থেকে এশিয়া

ফিলিস্তিনে দ্বিতীয় সপ্তাহে ইসরায়েলি আগ্রাসন, বাড়ছে লাশের সারি

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি আগ্রাসন দ্বিতীয় সপ্তাহে গড়ালো। ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজার ক্ষমতাসীন দল হামাসের মধ্যকার চলমান যুদ্ধ বন্ধে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন পক্ষ থেকে যুদ্ধবিরতির ডাক এলেও যুদ্ধ থামানোর ইঙ্গিত দেয়নি কোনো পক্ষই।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, সোমবার সকালেও গাজা উপত্যকায় অর্ধ-শতাধিক বিমান হামলা চালানো হয়। আজকের হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ফিলিস্তিনের সেনাবাহিনী, নিরাপত্তা বহরের ঘাঁটি ও হামাসের গোয়েন্দা কার্যালয়। এছাড়াও গাজার বেশ কিছু খালি জায়গায় গোলা ছোঁড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় আবাসিক এলাকার একটি চার তলা ভবন ক্ষেপণাস্ত্র মেরে গুড়িয়ে দিয়েছে তারা। এখনো হতাহতের খবর জানা যায়নি।

এদিকে, গেল সোমবার থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসন শুরুর পর রোববার সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী আর প্রাণঘাতী দিন দেখেছে ফিলিস্তিন। একদিনে ইসরায়েলি বর্বরতার শিকার হয় অন্তত ৪২ জন। যাদের মধ্যে ১০ জনই শিশু। ফিলিস্তিনে সব মিলিয়ে নিহত হয়েছে দুই শ’র কাছাকাছি মানুষ। এর মধ্যে ৫৮ জনই শিশু।

হামলার প্রতিবাদে দক্ষিণ ইসরায়েলের বেরশেবা ও আশকেলন শহরে রকেট হামলা চালিয়েছে হামাস। স্বাধীনতাকামী সংগঠনটিকে রুখতে এখনই যুদ্ধ সমাপ্তির কোন পরিকল্পনা নেই বলে হুমকি দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

অবরুদ্ধ গাজায় অনবরত ইসরায়েলি হামলায় উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব সম্প্রদায়। এক টুইট বার্তায় উভয়পক্ষকে যুদ্ধ থামাতে বলেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। ইসরায়েল, গাজা ও পশ্চিম তীরে হামলা নিয়ে সৌদি আরব, কাতার ও মিসরের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি বলেন, সব পক্ষকেই উত্তেজনা কমাতে হবে। অবিলম্বে এই সহিংসতা শেষ হওয়া উচিত।

রোববার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের পর যুক্তরাষ্ট্র জানায় ইসরায়েল, ফিলিস্তিন ও অন্যদের কাছে জানিয়েছে, সব পক্ষ যুদ্ধবিরতি চাইলে সমর্থন দিতে প্রস্তুত তারা।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এক সপ্তাহের ইসরায়েলি হামলায় নিহত হয়েছে ১৯৭ জন ফিলিস্তিনি। এর মধ্যে ৫৮ শিশু ও ৩৪ জন নারী রয়েছে। অপরদিকে, দুই শিশুসহ ১০ ইসরায়েলি নিহতের তথ্য দিয়েছে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন