আর্কাইভ থেকে এশিয়া

গাজায় ৫২ হাজার ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তু

ইহুদিবাদী ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ৫২ হাজার মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। পুরো গাজা উপত্যকা জুড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ৬৫০টি ভবন। মঙ্গল সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান জাতিসংঘ মানবিক ত্রাণ সমন্বয় সম্পর্ক বিভাগের মুখপাত্র জেন্স লায়ের্ক।

সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার মুখপাত্র জেন্স লায়ের্ক বলেন, উদ্বাস্তু হওয়া মানুষের মধ্যে ৪৭ হাজার জন জাতিসংঘ পরিচালিত ৪৮টি স্কুল ভবনে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করছে। ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১৩২টি ভবন সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ৩১৬টি ভবন মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ভবনের মধ্যে ৬টি হাসপাতাল, নয়টি প্রাইমারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং একটি পানি শোধনাগার রয়েছে। পানি শোধনাগারটি ধ্বংসের কারণে বিশুদ্ধ পানির সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে গাজার আড়াই লাখ মানুষ।

জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার মুখপাত্র আরো বলেন, ইসরায়েলি দখলদারদের একের পর এক রকেট হামলায় গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাদ্য, ওষুধ ও পানির সংকট দেখা দিয়েছে। উদ্বাস্তু মানুষকে খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী সরবরাহের চেষ্টা করা হচ্ছে। উদ্বাস্তু মানুষকে ত্রাণ সামগ্রী সরবরাহে গাজার সীমান্ত ক্রসিং খুলে দিতে ইসরায়েলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ ত্রাণ সংস্থার মুখপাত্র।

এদিকে, কঠিন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে গাজায় মানবিক তহবিলের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। এক টুইটে জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি গাজায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। তীব্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সেখানকার বাড়িঘর ও জরুরি স্থাপনাগুলো। মানবেতর জীবনযাপন করছে ফিলিস্তিনিরা। দ্রুত মানবিক তহবিল গঠন করে আন্তর্জাতিক মহলের উচিত ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করা।

ইতোমধ্যে গাজাবাসীর জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধের মারাত্মক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এতে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ডাব্লিউএইচও। সংস্থাটি জানায়, ওষুধ ঘাটতির কারণে নবজাতকের জীবন বিপন্ন হতে পারে। করোনা মহামারী মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর রকেট হামলায় নিহতের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গাজার হাসপাতালগুলো। সেখানে বন্ধ হয়ে গেছে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা। এতে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হওয়ার আশংকা করছে সংশ্লিষ্টরা।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন