আর্কাইভ থেকে আফ্রিকা

সক্রিয় কঙ্গোর নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরি, আতঙ্কে বাসিন্দারা

দীর্ঘ ১৯ বছর পর সক্রিয় হয়ে উঠেছে কঙ্গোর নাইরাগঙ্গো আগ্নেয়গিরি। মধ্য আফ্রিকার দেশটির পার্বত্য অঞ্চলটিতে ছড়িয়ে পড়েছে লাভা। রক্তিম লাভার উদগীরণে ঢেকে গেছে রাতের আকাশ। জনপদ থেকে দিশেহারা হয়ে পালাচ্ছে আতঙ্কিত মানুষ।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, কঙ্গোর যোগাযোগ মন্ত্রণালয় বলেছে, শনিবার সন্ধ্যার দিকে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণের পর লাভা ছড়িয়ে পড়েছে গোমা শহরের বিমানবন্দর এলাকায়। বিস্ফোরণে বাতাসে সালফারের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, বিস্ফোরণ হলেও ভূমিকম্প হয়নি। এ পরিস্থিতিতে এলাকার বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কঙ্গো সরকার। শিগগিরই ২০ লাখ বাসিন্দার গোমা শহরে উদ্ধার তৎপরতা শুরু হবে। এদিকে, জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইউরোপ সফর বাতিল করে কঙ্গো ফিরছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট।

রিখটার স্কেলে অস্বাভাবিক কম্পন ধরা পড়ার কথা চলতি মাসের ১০ তারিখে সর্তক করেছিলো কঙ্গোর ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা। কিন্তু তা আমলে নেয়নি সরকার। আগ্নেয়গিরির চারপাশের লোকালয়ে সতর্কবার্তা জারি করা হয়নি। ফলে অজানা আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটছে দিশেহারা মানুষ।

পার্বত্য লোকালয় থেকে নিকটবর্তী গোমা শহরে ছুটছে সবাই। কিন্তু সেখানেও ধেয়ে যাচ্ছে লাভা। অবিলম্বে সেখানে উদ্ধার তৎপরতা শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে কঙ্গো সরকার। ততক্ষণ শিশু থেকে বুড়োদের খোলা আকাশের নীচেই রাত কাটাতে হচ্ছে।

গোমা শহর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত আগ্নেয়গিরিটিতে সর্বশেষ বিস্ফোরণ হয় ২০০২ সালে। এতে মারা যায় অন্তত আড়াই শ’ মানুষ। ঘরবাড়ি হারায় এক লাখ ২০ হাজার বাসিন্দা।

এর আগে নাইরাগঙ্গো জেগে উঠেছিল ১৯৭৭ সালে। আগ্নেয়গিরির বিস্ফোরণে মারা যায় ছয় শতাধিক মানুষ।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন