আর্কাইভ থেকে আফ্রিকা

কঙ্গোর নাইরোগঙ্গোয় অগ্নুৎপাতে ১৫ জনের মৃত্যু

মধ্য আফ্রিকার দেশ কঙ্গোয় নাইরোগঙ্গো আগ্নেয়গিরির লাভা উদগীরণে মারা গেছে অন্তত ১৫ জন। মৃতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনায় দেশটিতে দেখা দিয়েছে মানবিক বিপর্যয়।

এক বিবৃতিতে সরকারি মুখপাত্র জানান, দুর্যোগ থেকে পালানোর সময় গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছে অন্তত নয়জন। লাভার আগুনে পুড়ে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। তারা কারাগারে বন্দি ছিল।

ইউনিসেফের হিসাব অনুযায়ী, আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতে ১৭০ জনের বেশি শিশু নিখোঁজ রয়েছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে পালানোর সময় পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আরো দেড় শতাধিক শিশু।

এদিকে, কঙ্গোর বুহেনে জেলার গোমা শহরে এসে শেষ হয়েছে আগ্নেয়গিরির লাভা। অগ্নুৎপাতের ফলে জ্বলন্ত লাভার নিচে চাপা পড়েছে শত শত ঘরবাড়ি। গোমা ও বেনি শহরের সংযোগ মূল মহাসড়ক লাভায় ঢেকে গেছে। ত্রাণ সহায়তা পাঠানোর জন্য এটাই একমাত্র রাস্তা ছিল। লাভা শহরের বিমানবন্দরের খুব কাছে এলেও তা অক্ষত রয়েছে।

অগ্ন্যুৎপাত কমে আসায় লোকালয়ে ফিরতে শুরু করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা। ধ্বংসস্তুপের নিচে প্রিয়জনকে খুঁজে বেড়াচ্ছে অনেকে।

গোমা থেকে আগ্নেয়গিরির দূরত্ব দশ কিলোমিটার। গেল শনিবার থেকে ফুঁসে ওঠে সুপ্ত আগ্নেয়গিরিটি। অগ্নুৎপাতে পুড়িয়ে দেয় সীমান্তবর্তী বেশ কিছু গ্রাম।

২০০২ সালে শেষবার সক্রিয় হয়েছিলো নাইরোগঙ্গো। ওই সময় অগ্নুৎপাতে মারা যায় আড়াইশো মানুষ। গৃহহীন হয় এক লাখ ২০ হাজারের বেশি।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন