আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ভারতে প্রকাশ্যে চিকিৎসক দম্পতিকে গুলি করে হত্যা

ভারতে প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ মারা গেছে চিকিত্সক দম্পতি। রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাদের গুলি করে হত্যা করা হয়। শুক্রবার বিকেলে শিউরে ওঠার মতো হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে রাজস্থানের ভরতপুরে। নিহত চিকিৎসক দম্পতির নাম সুদীপ গুপ্ত এবং সীমা গুপ্ত। হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হয় তারা। হত্যার সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ ছড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

ভারতীয় নিউজ এজেন্সি পিটিআই জানায়, রাজস্থানের ভরতপুরে শুক্রবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। ভাইরাল হওয়া সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে, গাড়িতে করে যাচ্ছিলো ওই দম্পতি। রাস্তায় মোটরসাইকেলে আসা দুই যুবক তাদের গাড়ি দাঁড় করায়। গাড়ির কাছে গিয়ে কিছু বলে তারা। একজনের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। আরেকজন তাও পরেনি। খুব শান্তভাবে মুখ ঢাকা এক ব্যক্তি গাড়ির সামনে এগিয়ে যায়। এক পর্যায়ে গাড়িতে থাকা চিকিৎসক জানালার কাঁচ নামাতেই কয়েকটি গুলি চালায় ওই যুবক। পরে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।

হত্যাকাণ্ডের পরপরই তদন্তে নেমেছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে, অভিযুক্তদের নাম অনুজ ও মহেশ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে প্রতিশোধ নিতেই ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ভরতপুরের পুলিশ মহাপরিদর্শক প্রশান কুমার খামেসরা বলেন, হামলাকারীরা ডাঃ সুদীপ গুপ্ত এবং তার স্ত্রী সীমা গুপ্তাকে সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ডের কাছে সার্কুলার রোডে থামিয়ে গুলি করে হত্যা করে। আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করা হচ্ছে।

এদিকে, সিসিটিভি ফুটেজে গুলি চালাতে দেখা যাওয়া এক ব্যক্তি দুই বছর আগে নিহত এক নারীর ভাই বলে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের ধরতে অনুসন্ধান চলছে।

ভরতপুরের পুলিশ মহাপরিদর্শক আরও জানিয়েছেন, নিহত দুজনের ময়নাতদন্ত আরবিএম হাসপাতালে করা হয়েছে। এক নারী এবং তার পাঁচ বছরের শিশু হত্যার মামলায় নিহত চিকিৎসক, তার স্ত্রী এবং মায়ের জেল হয়েছিল।

পুলিশ কর্মকর্তা রাজেন্দ্র শর্মা জানান, তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার পর এক নারী এবং তার পাঁচ বছরের শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। এই নারীর সঙ্গে ডাঃ গুপ্তের একটি সম্পর্ক ছিল এবং তাঁর মা ও স্ত্রীসহ বাড়িটি জ্বলিয়ে দেওয়ার ঘটনায় তিনি জড়িত বলে সন্দেহ করা হয়েছিল।

অন্যদিকে, হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কংগ্রেস সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন রাজস্থানের বিজেপি প্রধান সতীশ পুনিয়া। তিনি বলেন, এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। হামলা ও হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা না নিলে রাজপথে নেমে আসবে রাজ্যবাসী।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন