আর্কাইভ থেকে জাতীয়

উপ-নির্বাচন বন্ধ করায় ইসিকে সাধুবাদ : সাখাওয়াত

অনিয়মের অভিযোগে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ করে দেয়ায় নির্বাচন কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলের নির্বাচন কমিশনের কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন ৯০ দশক থেকে এ ক্ষমতা প্রয়োগ করলে আজকের রাজনৈতিক পরিবেশ ভিন্নও হতে পারত।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) সাবেক নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গে বর্তমান কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

পরের নির্বাচনেও সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার পরামর্শ দিয়েছেন সাখাওয়াত।

সাংবাদিকদের সাখাওয়াত বলেন, নির্বাচন কমিশন যদি মনে করে পরিবেশ ঠিক নাই, তাহলে ইলেকশন তারা বন্ধ করতে পারেন। যতক্ষণ পর্যন্ত তরা মনে করবেন যে পরিবেশ ঠিক হয় নাই, ততক্ষণ পর্যন্ত বন্ধ রাখতে পারবেন, কোথাও কোনো বাধা নেই।

১৯৯৪ সালে বিএনপি সরকারের আমলে মাগুরা ও ঢাকার মিরপুরের বিতর্কিত উপনির্বাচনের কথা তুলে ধরে সাখাওয়াত বলেন, ১৯৯৪ যদি এটা করা হতো, তাহলে আজকে পলিটিক্যাল ফিল্ডটা অন্যরকম হতে পারত।

গেলো ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনে উপ-নির্বাচনের ভোট চলাকালে কেন্দ্রে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সরাসরি পর্যবেক্ষণ করে প্রথমে ৫১ কেন্দ্র ও পরে ১৪৫ কেন্দ্রের সবগুলোর ভোট বাতিল করে নির্বাচন কমিশন।

অনিয়ম হলে ভোট বাতিলের ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের থাকলেও এর আগে কখনও এর প্রয়োগ দেখা যায়নি। এ নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।

সেদিন কেন্দ্রে কেন্দ্রে কী হয়েছিল, তার তদন্ত করে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রতিবেদন দিতে বলেছে নির্বাচন কমিশন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেবে তারা।

এই ঘটনায় মতামত নিতে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার ও কমিশন সচিবদের আমন্ত্রণ জানায় আউয়াল কমিশন।

১৯৯১ সালের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনাকারী আবদুর রউফ, ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন পরিচালনাকারী কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচন পরিচালনাকারী কে এম নুরুল হুদা নির্বাচন কমিশনের ডাকে সাড়া দিয়ে আলোচনায় আসেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন