আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

আবাসিক হোটেলে নারীর লাশ; পরিচয় পেয়েছে পুলিশ

 

নরসিংদীর একটি আবাসিক হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া লাশের প্রকৃত পরিচয়  পাওয়া গেছে। নিহতের আগের পরিচয় ভূয়া ছিলো। নরসিংদী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতাউর রহমান মঙ্গলবার (১ জুন) দুপুরে এই তথ্য জানান। সোমবার (৩১ মে) বিকেলে সদরের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় ঐ তরুনীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলেছে, রোববার সন্ধ্যায় নিরালা হোটেলের একটি কক্ষ ভাড়া নেন ওই নারী। এসময় হোটেল রেজিস্ট্রারে তার নাম ঠিকানা লেখা হয় রেহানা আক্তার। সোমবার দুপুরে ভেতর থেকে হোটেল কক্ষের দরজা বন্ধ থাকায় ও তার সাড়া না পেয়ে সদর থানায় খবর দেয় হোটেল কর্তৃপক্ষ। খবর পেয়ে বিকাল সাড়ে ৩টায় পুলিশ কক্ষের দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে জানালার গ্রীলের সাথে ওই নারীর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়। তবে একদিন পর জানা যায় চাঞ্চল্যকর তথ্য। হোটেলের রেজিস্টারে এন্ট্রি করা ঐ তরুনীর নাম পরিচয় ছিল সম্পূর্ণ ভূয়া। তিনি নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। হোটেলে বুকিং দেয়ার সময় দেয়া নাম পরিচয়ের সাথে তা মেলেনি। নরসিংদী সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতাউর রহমান বলেন, ফিঙ্গার স্ক্যান করে নিহতের আইডি কার্ড চেক করেই পুলিশ নিহতের পরিচয় নিশ্চিত হয়েছে। তিনি মহিলা মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিলেন।  এর আগে তিনি নিজের ছেলেকে কুপিয়ে আহত করে। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্খায় রোববার তার ছেলে মারা যায়। এরপর ওই নারী নরসিংদীতে যান। নারীর লাশ নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে আছে। স্বজনদের খবর দেয়া হয়েছে। এবিষয়ে একটি মামলা হয়েছে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন