বিয়ে মানে কী? উত্তর লিখেও ফলাফল শূণ্য
স্কুলের পরীক্ষায় প্রশ্ন এসেছিল,'বিয়ের অর্থ কী?' খুব যত্ন করে ১০ নম্বরের সেই প্রশ্নের উত্তর লিখেছে এক শিক্ষার্থী। জীবনে চোখের সামনে যা যা দেখেছ, যা শুনেছে, সবই সেই প্রশ্নের উত্তরে লিখেছে সে। কিন্তু খাতা বেরোনোর পর দেখা গেল, শূন্য পেয়েছে সে!
আসলে সেই শিক্ষার্থী বিয়ের অর্থ তো লিখেছে, কিন্তু সমাজে বিয়েকে যে চোখে দেখা হয়, তার থেকে বেরিয়ে গিয়ে নতুন সংজ্ঞা তৈরি করেছে সে। তার উত্তরে শিক্ষক ক্ষুব্ধ হয়েছেন বটে, কিন্তু সেই খাতার পাতা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ পেতেই নেটিজেনদের মনজয় করে নিয়েছে সে। কেউ কেউ বলছেন, 'একদম সঠিক মূল্যায়ন করেছে সেই শিশু।'
কী ছিল সেই উত্তরে?
ক্ষুদে শিক্ষার্থী খাতায় লিখেছে, 'বিয়ে তখন হয়, যখন মেয়ের বাবা-মা তাকে বলে, ''তুমি এখন বড় হয়েছ... আমরা তোমাকে আর খাওয়াতে পারব না, তার থেকে ভাল এমন একজনকে খুঁজে বের করো যে তোমাকে খাওয়ানো শুরু করবে...।" এবং মেয়েটি এমন এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করে যার বাবা-মা আবার তাকে বিয়ের জন্য জোরাজুরি করে। বলে, ''প্লিজ তুমি এখন অনেক বড়।'' দু'জনেই তারপর নিজেদের পরীক্ষা করে খুশি হয়ে যান। তারপর একসঙ্গে থাকতে রাজি হন। শেষে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্য তারা বাজে কাজ করা শুরু করেন।'
সেই লেখায় শিক্ষক বড় করে লাল কালি দিয়ে লিখেছেন, 'ননসেন্স', অর্থাৎ 'অর্থহীন আজেবাজে লেখা'। তার পাশে নম্বর বসানো। ১০-এ ০ (শূন্য)। নীচে লেখা, 'আমার সঙ্গে দেখা করো'।
ট্যুইটারে সেই ছবি শেয়ার করে কেউ লিখেছেন, 'সারল্য এবং সততা!', কেউ বললেন, 'শিশুর উত্তরে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি।' চারদিকে হাসির রোল হলেও শিক্ষার্থীর প্রশংসায় মেতে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।