আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

প্রায় এক বছর পর কোভিডে প্রথম মৃত্যুবিহীন দিন ব্রিটেনে

মহামারি শুরুর এক বছরেরও বেশি সময় পর এই প্রথম মৃত্যুবিহীন দিন দেখল ব্রিটেন। গেল জুলাইয়ের পর গতকাল মঙ্গলবার দেশটিতে প্রথম বার করোনায় একজনও মারা যায়নি। গেল বছরের ৭ই মার্চ ব্রিটেনে প্রথম করোনায় মৃত্যু হয়। এ পর্যন্ত দেশটিতে মারণ ভাইরাসে মারা গেছে এক লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, দেশটিতে একদিনে শনাক্তও অনেক কমে গেছে। মঙ্গলবার শনাক্ত হয়েছে তিন হাজারের বেশি।

কারো মৃত্যু না হওয়ার খবরে নাগরিকরা উচ্ছ্বসিত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক। সংক্রমণ ও মৃত্যু কমার পেছনে টিকা বড় ধরনের ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করেন তিনি।

মঙ্গলবার মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়া নিয়ে ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, নিঃসন্দেহে খুব ভালো খবর। ডিসেম্বরে শুরু হওয়া টিকাকরণ যে কাজ করছে সে বিষয়টিও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি করোনার নতুন ধরনের জেরে প্রতিদিনের আক্রান্তের সংখ্যা বাড়া নিয়েও সতর্কবার্তা দিয়েছেন ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

ম্যাট হ্যানকক বলেছেন, আমরা এখনও ভাইরাসকে হারাতে পারিনি। তাই জনগণকে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধও করেন তিনি।

জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসারে, ব্রিটেনে এখন পর্যন্ত প্রায় ৪৫ লাখ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। ব্রিটিশ সরকারের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এর মধ্যে মহামারি শুরুর প্রায় এক মাসের মধ্যে মৃত্যু হয়েছিল এক লাখ ২৭ হাজার ৭৮২ জনের। গেল বছর মহামারি শুরুর সময় ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিল ব্রিটেন।

ব্রিটেনে গেল কয়েক দিন করোনাভাইরাসের ডেলটা প্রজাতি মিলেছে। এর প্রথম সন্ধান মিলেছিল ভারতে। এক সপ্তাহ ধরে ব্রিটেনে প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে তিন হাজারের বেশি মানুষ। করোনার তৃতীয় ঢেউ যাতে আছড়ে না পড়ে তা নিয়ে ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে ইউরোপের দেশটি। এজন্য ২১ জুন থেকে বিধিনিষেধ পুরোপুরি তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা দেওয়া হলেও তা থেকে পিছিয়ে যান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। এখন পর্যন্ত আড়াই কোটির বেশি মানুষকে দুটি টিকার আওতায় এনেছে ব্রিটিশ সরকার।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন