আর্কাইভ থেকে এশিয়া

প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনির স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন

সম্প্রতি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে রক্ষক্ষয়ী সংঘাতের পর দখলকৃত ফিলিস্তিনের প্রায় দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচও। এছাড়া যুদ্ধ পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় আর্থিক সহায়তাও প্রয়োজন। গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটির পূর্বাঞ্চলীয় ভূমধ্যসাগরীয় আঞ্চলিক কার্যালয়।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার ডব্লিউএইচওর এক বিবৃতিতে বলা হয়, ফিলিস্তিন পরিস্থিতি ভয়ংকর। পশ্চিম তীরসহ দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে প্রায় দুই লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সহায়তা প্রয়োজন। আর তা সরবরাহে তৎপরতা জোরদার করেছে ডব্লিউএইচও। প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা সরবরাহ এবং এ কাজে নিযুক্ত মানুষকে গাজায় অবাধে প্রবেশ করতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ডব্লিউএইচও।

জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধের ফলে ৭৭ হাজার ফিলিস্তিনি অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এবং ৩০টি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস হয়েছে। 

এদিকে ফিলিস্তিনি জনগণের সহায়তার জন্য এক কোটি ছয় লাখ অর্থ সহায়তা চেয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রসের প্রধান রবার্ট মারদিনি। ফিলিস্তিনের তথ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে স্থানীয় পৌরসভার সাতশ ৪৮টি আবাসিক ভবনে হামলা চালানো হয়েছে। এক হাজার আটশ আবাসিক ইউনিটের ১৪ হাজার তিনশ ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। 

ডব্লিওএইচওর শীর্ষ কর্মকর্তা ড. রিক পিপারকর্ণ বলেন, ফিলিস্তিনিদের জীবনমান খারাপের দিকে যাচ্ছে। সহিসংতার কারণে বেশিরভাগ মানুষের জরুরি সহায়তা প্রয়োজন। রয়েছে করোনার মতো অন্যান্য স্বাস্থ্য হুমকিও।

ডব্লিওএইচও বলছে, দখলকৃত ফিলিস্তিন অঞ্চলে ৩১ মে পর্যন্ত করোনায় সংক্রমিত হয়েছে তিন লাখ ৩৭ হাজার ১৯১ জন। মারা গেছে তিন হাজার ৭ ৬৫ জন। সম্প্রতি গাজায় করোনা শনাক্তের হার বেড়ে গেছে।

ফিলিস্তিনে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম জোরদারে সংস্থাটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার সহায়তার আবেদন জানালেও পাওয়া গেছে মাত্র ২৩ লাখ মার্কিন ডলার।

গেল মাসে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। পাল্টা গাজা থেকে রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। উভয়পক্ষের ১১ দিনের সংঘাতের পর যুদ্ধবিরতি ঘোষণা হয়। ইসরায়েলি হামলায় ৬৬ শিশুসহ মোট ২৫৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়। অপরপক্ষে হামাসের ছোঁড়া রকেটে নিহত হয় ১২ জন ইসরায়েলি।

২০০৭ সালে হামাস গাজার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ওই অঞ্চলের স্থল ও আকাশ সীমান্ত অবরুদ্ধ করে রেখেছে ইসরায়েল। ঘনবসতিপূর্ণ এ এলাকায় প্রায় ২০ লাখ ফিলিস্তিনি বসবাস করে। বহির্বিশ্বের সঙ্গে গাজার যোগাযোগের একমাত্র পথ রাফা ক্রসিং। যা মিসর সুরক্ষা দিয়ে যাচ্ছে। সেখানে ইসরায়েলের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন