আর্কাইভ থেকে উত্তর আমেরিকা

চাকরি হারিয়ে বছরে আয় প্রায় ১ কোটি টাকা!

২০১৩ সালে চাকরি হারান জেনেস টরেস। যখন চাকরি হারান, তখন টাকার হিসাবে বছরে প্রায় ৬৬ লাখ রোজগার করতেন এই ইঞ্জিনিয়ার।  সেই জেনেসের এখন বছরে রোজগার কত? তাও প্রায় ১ কোটির কাছাকাছি। ভাগ্যিস চাকরি চলে গিয়েছিল!

কিন্তু কীভাবে এতো টাকা রোজগার করেন তিনি? সেটাও এক মজার কাহিনি। জেনে নেয়া যাক, সেই কাহিনী।

চাকরি থাকাকালীন জেনেস টরেস একটি ব্লগ শুরু করেছিলেন। ব্লগের নাম ‘ডেলিশ ডিলাইটস’। বিষয় হল খাওয়াদাওয়া। একেবারে শখের জন্যই করা। কোনও পরিকল্পনা ছিল এই ব্লগ নিয়ে। কিন্তু একটি কাজ তার পরেও মন দিয়ে করতে তিনি। রোজ একটি পোস্ট করতেন সেই ব্লগে। এক দম নিয়ম করে। এমনকী যখন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করতেন, তখনও রোজ একটি পোস্ট থাকতই। আর ২০১৫ সালে সেই ব্লগে পাঠকের সংখ্যা পৌঁছে যায় মাসে প্রায় দেড় হাজারে।

২০১৯ সালে জেনেস শুরু করেন নতুন একটি ব্লগ। তার নাম ‘ইয়ো কুইয়েরো দিনেরো’। এটির বিষয় বস্তু হল টাকাপয়সা রোজগার এবং জমানোর প্রক্রিয়া।

সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় জেনেস জানিয়েছেন, ১০ হাজার ডলারের উপর তিনি রোজগার করেছেন শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন থেকেই। লেখা, ছবি বা ভিডিও সব ধরনের বিজ্ঞাপনই তিনি রাখেন তার ওয়েবসাইটে। আর সেটিই তাকে দিয়েছে এই পরিমাণ উপার্জনের সুযোগ।

যারা ইতিমধ্যেই অন্য চাকরির সঙ্গে যুক্ত, তাদেরও পরামর্শ দিয়েছেন জেনেস। তার বক্তব্য প্রযুক্তি এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যাতে ‘প্যাসিভ ইনকাম’-এর রাস্তা খুলে যাচ্ছে। এক সঙ্গে একাধিক মাধ্যম থেকে রোজগার সম্ভব। তার জন্য সব সময় যে বিরাট পরিশ্রম করতে হবে, তেমনও নয়।

হালে আমেরিকায় প্রচুর মানুষ পাকা চাকরির পাশাপাশি অন্য ধরনের কাজের চেষ্টা করছেন। সাধারণত ছুটির দিনগুলিকে তারা কাজে লাগাচ্ছেন এই ধরনের কাজের জন্য। পাশাপাশি নিয়মিত চাকরির কাজ শেষ করে বসে পড়ছেন অন্য কাজের সন্ধানে। এভাবেই একাধিক মাধ্যম থেকে অর্থ রোজগার করতে চাইছেন তারা। আর সেটিই হয়ে উঠছে তাদের অতিরিক্ত রোজগারের মাধ্যমে। তাদের জন্য জেনেসের পরামর্শ খুবই কাজের হতে পারে বলে করছেন অনেকে।

ভারত বা এশিয়ার দেশগুলির ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি মোটেই অসম্ভব কিছু নয়। ইন্টারনেট এবং সোশ্যাল মিডিয়াকে কাজ লাগিয়ে এভাবেই নতুন কিছু করা সম্ভব বলে মনে করছেন অনেকেই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন