কুবিতে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক পদে অর্ধশতাধিক পদ-প্রত্যাশী
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শাখা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনের নিমিত্তে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আগ্রহী পদ-প্রত্যাশীদের জীবনবৃত্তান্ত সংগ্রহ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসময় অর্ধশতাধিক পদ-প্রত্যাশী নেতা-কর্মীরা তাদের জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন।
আজ সোমবার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ১ টায় প্রশাসনিক ভবনের ৪১১ নং রুমে এই কর্মসূচি আয়োজন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচী ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন এবং উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহিম ইসলাম লিমন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ এবং সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম মাজেদ।
জানা যায়, শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহীর অনুসারী প্রায় অর্ধশতাধিক পদ প্রত্যাশী নেতাকর্মী জীবনবৃত্তান্ত জমা দেন৷ তবে রেজা সমর্থিত পদ প্রত্যাশীরা ক্যাম্পাসের বাইরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন৷
কেন ক্যাম্পাসের বাইরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন জানতে চাইলে রেজা-ই-এলাহী জানান, যেকোনো ধরনের সহিংসতা কিংবা বিশৃঙ্খলা এড়াতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা ক্যাম্পাসের বাইরে জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছি।
এ সময় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, আমার বিরুদ্ধে বিপক্ষ দল অনেক অভিযোগ দিয়েছে যেগুলোর কোন ভিত্তি নাই। যারা চুরি, মাদকাসক্ত, চাঁদাবাজি করে আজকে তারা আদর্শ নেতা হতে চায়। যাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন ছাত্রত্ব নেই৷ তারা কিভাবে ছাত্রলীগের পদের প্রত্যাশা করে? আজকে যারা অক্লান্ত পরিশ্রম করে ক্যাম্পাসকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তারা কেন পদের প্রত্যাশা করতে পারবে না। আমি কারও বিরুদ্ধে প্রমাণ ছাড়া কথা বলছি না। যদি টাকা দিয়ে ছাত্রলীগের পদ পাওয়া যেত, তাহলে অনেকে বিদেশ গিয়ে টাকা আয় করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পদের জন্য আবেদন করতেন। তাদের নাই কোন নেতা, কর্মী বা কোন গ্রুপ। তারা কিভাবে পদের জন্য আহ্বান করে।
তিনি আরও বলেন, আমি ভাইদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। আপনারা ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী পদ দিবেন। আজকে যারা গরিব শিক্ষার্থী ছাত্রলীগ রাজনীতি করে তারা কি দোষ করল?
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী যাদের ছাত্রত্ব আছে, অবিবাহিত তারাই আগামীতে নেতৃত্ব দিবে। আর বর্তমান কমিটি পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত বহাল থাকবে। যদি এর মধ্যে কোন সিদ্ধান্ত আসে সেটা ছাত্রলীগের বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। এ কমিটি কবে নাগাদ হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা জীবনবৃত্তান্ত গ্রহণ করেছি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমরা জীবনবৃত্তান্ত যাচাই বাচাই করে কেন্দ্র থেকে কমিটি ঘোষণা করা হবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের উপ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফাহিম ইসলাম লিমন বলেন, জীবনবৃত্তান্ত কার্যক্রমে আপনারা স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ দক্ষিণ এশিয়ার একটি সুসংগঠিত বৃহৎ সংগঠন। আমরা সুসংগঠিত লাল মাটির ক্যাম্পাসে একটা সুসংগঠিত কমিটি উপহার দিতে চাই।
এছাড়া কর্মসূচি শেষে বিভিন্ন হলের পদ-প্রত্যাশী, এবং বিভিন্ন হলের নেতাকর্মীরা জীবনবৃত্তান্ত জমা দিয়েছেন।