আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

দাম বাড়ানো হলেও চিনি নেই বাজারে

বাজারে এখনও চিনি সংকট। এর মধ্যেই দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। দেশি চিনি কেজি প্রতি ১৪ টাকা বাড়ানো হয়েছে। বিক্রেতারা বলছে যেখানে পণ্যই নেই সেখানে দাম বাড়া-কমার বিষয়টি অযৌক্তিক।

আজ শুক্রবার ( ৪ নভেম্বর) কাওরান বাজারে গিয়ে সরোজমিনে এমন চিত্র দেখা গেছে।

দেশি চিনির সরকার নির্ধারিত মূল্য ৮৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯৯ টাকা করা হয়েছে। কিন্তু তার থেকেও বেশী গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বাজারে কোন চিনিই নেই বলে অভিযোগ ক্রেতা-বিক্রেতার।

বিক্রেতা জানান, শুধু চিনিরই দামই বেশি নয়, দাম বেড়েছে আটা, চাল এবং ডালের। তেলের দামও বাড়তে পারে বলে কোম্পানি আভাস দিয়েছেন।

এদিকে কাঁচা বাজারে গেলো সপ্তাহের তুলনায় দাম কমেছে শীতকালীন সবজিগুলোর। কেজি প্রতি ৫ টাকা থেকে শুরু করে কুড়ি টাকাও কমেছে সিম, মুলাতে।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, গেলো সপ্তাহের তুলনায় দাম না বাড়লেও সবজির আমদানির অনুপাতে দাম অনেক বেশি।

সাত্তার মাহামুদ নামের এর ক্রেতা বলেন, প্রতি পিস ফুল কপির দাম চল্লিশ থেকে ষাট টাকা যা গেলো সপ্তাহের থেকে কম হলেও এর দাম হওয়া উচিৎ ছিলো জোরা পঞ্চাশ টাকা।

অন্য একটা ক্রেতা বলেন, আমি হাতির পুল থেকে কাওরান বাজার এসেছি, কারণ এখানে কিছুটা কম দামে পণ্য পাওয়া যায় কিন্তু কই কম দাম! বেগুন ৭০ টাকা কেজি, শশা ৮০ টাকা কেজি অথচ হওয়া উচিৎ ছিলো সর্বোচ্চ ৪০টাকা।

আরও একজন ক্রেতা বলেন, ১ঘন্টার উপরে আমি চিনি খুঁজছি কিন্তু কোন দোকানে চিনি নেই। শেষে একটু গুড় কিনে বাসায় যাচ্ছি।

দোকানীরা আরও বলেন, বড় কোম্পানি গুলো চিনি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছেন তাতে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ ক্রেতা এবং খুচরা বিক্রেতারা।

এদিকে ভোক্তাদের চাওয়া সরকারি ভাবে শুধু দাম নির্ধারণ করে দিলেই হবে না, সেটা সঠিকভাবে সবাই মানছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য মনিটরিং দরকার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন