প্রতিশোধ নিতেই মামুনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়
২০১১ সালে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সিদ্দিকুর রহমান। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মামলার বাদির ওপর প্রতিশোধ নিতে শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারকে প্রকাশ্য দিবালকে কুপিয়ে বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে, শরীর ও মুখমণ্ডল ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত করে হত্যা করা হয়। জানালেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাতে সিদ্দিকুরকে নারায়ণগঞ্জ সদর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য জানায় সিদ্দিকুর রহমান।
শনিবার (৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায় র্যাব।
র্যাবের মিডিয়া বিভাগের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, মামুন হাওলাদার পেশায় একজন ব্যবসায়ী এবং শিয়ালকাঠি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য ছিলেন। ২০১১ সালে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার সিদ্দিকুর রহমান। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে মামলার বাদির ওপর প্রতিশোধ নেয়ার সুযোগ খুঁজতে থাকেন।
গত ৩১ আক্টোবর সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টায় পিরোজপুরের কাউখালীর শিয়ালকাঠী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মামুন হাওলাদারকে প্রকাশ্য দিবালকে কুপিয়ে বাম পা কেটে বিচ্ছিন্ন করে, শরীর ও মুখমণ্ডল ক্ষত-বিক্ষত ও বিকৃত করে হত্যা করা হয়। এরপর মামুনের ছেলে বাদি হয়ে হত্যা মামলা দায়েরের পর সিদ্দিকুরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিনি আরও জানান, সিদ্দিকুর ছিলেন হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী। গত ৩১ অক্টোবর সকালে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন মামুন। পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক সজল জমাদ্দার মামুনকে ইউনিয়ন পরিষদে পৌঁছে দিতে মোটরসাইকেলে তুলে কৌশলে সিদ্দিকুরকে জানায়। এরপর সিদ্দিকুর তা কামালকে জানায় এবং পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে। মামুনকে নিয়ে সজল উত্তর ভিটাবাড়িয়া আজহারিয়া ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসার কাছাকাছি এসে পৌঁছালে সিদ্দিকুরের নির্দেশে পূর্ব থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা কামাল, আসাদুল এবং অন্য সহযোগীরা রাস্তায় গাছ ফেলে মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে এবং একযোগে মামুনের ওপর হামলা চালায়।