আর্কাইভ থেকে ফুটবল

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে মোকাবেলায় প্রস্তুত বাংলাদেশ

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বিতার লড়াই। ফুটবলেও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের আগে দুই দলই একে অপরকে যেমন বিশ্লেষণ করছে, ঠিক তেমনি নজর রাখছে শক্তি-দুর্বলতায়। সকালে জিম আর বিকেলে অনুশীলন করে ব্যস্ততায় কেটেছে জেমি ডে শিষ্যদের। ভারতীয় ডিফেন্ডার আদিল খান হুঙ্কার দিয়েছেন বাংলাদেশকে রুখে দেয়ার।
 
ক্রিকেট হোক বা ফুটবল। প্রতিপক্ষ ভারত মানেই উত্তেজনা আর টেনশনের পারদ চরমে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে সেই ধারা টেনে নিয়ে চলেছেন জামাল, তপু, রহমতরা। ভারত ঘুরে, বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গী হয়ে তা জানা হয়ে গেছে সহকারী কোচ স্টুয়ার্ট ওয়াটকিসেরও।

৭ জুন তারই আরেক পরীক্ষা। ২০১৯-এর অক্টোবরে কলকাতার সল্টলেক স্তব্ধ করে দেয়া সাদ উদ্দিনের গোল, আজও রোমাঞ্চিত করে পুরো বাংলাদেশকে। ফিরতি দেখা হতে পারতো দর্শকপূর্ণ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে। কিন্তু করোনা ওলট পালট করে দিয়েছে সব হিসাব। শুধু পারেনি বাংলাদেশ ফুটবলারদের মনোবল ভাঙ্গতে।

সেই ম্যাচে ভারতের মান বাঁচিয়েছিলেন আদিল খান। এবার পেতে চান পূর্ণ পয়েন্ট। কাতারের বিপক্ষে দশ জনের দল নিয়ে লড়াই করে এক গোলের হার, দিচ্ছে বাড়তি প্রেরণা।

আদিল খান বলেন, 'আমি মনে করি বাংলাদেশকে আটকে রাখা সম্ভব হবে। আমরা তাদের জন্য প্রস্তুত। সাম্প্রতিক সময়ে তারা ভাল করছে। লড়াইটা দারুণ হবে।'

স্টিফেন কনস্ট্যান্টটাইনের উত্তরসূরী হয়েছেন ক্রোয়েশিয়ান ইগর স্টিমাচ। তার কৌশলে তিক্ষ্ণ নজর বাংলাদেশ কোচিং প্যানেলের।

স্টুয়ার্ট ওয়াটকিস বলেন, 'পরের ম্যাচে আমাদের প্রতিপক্ষ আরও বড়। ভারত র‍্যাঙ্কিংয় অনেক এগিয়ে। আমরা কলকাতায় জয়ের খুব কাছে পৌঁছে গিয়েছিলাম। সেটাই অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স ছিলো জেমির অধীনে। আগের কোচ ভারতকে অনেক এগিয়ে নিয়ে গেছেন। নতুন কোচও সেই ধারা ধরে রেখেছেন।'

দোহার ইজদান হোটেলে একসঙ্গে বাস বাংলাদেশ ও ভারত ফুটবলারদের। কিন্তু হোটেলের রুম যেমন আলাদা ফ্লোরে, তেমনি খাওয়ার জায়গাও আলাদা। জিমও ভিন্ন। তবে চেনা জানার পূর্বসূত্র ধরে ফোন আর হোয়াটসঅ্যাপে আদান-প্রদান হচ্ছে কুশল।

এই ম্যাচের আগে আলোচনায় জামাল ভূইয়াও। বাংলাদেশ অধিনায়ক সম্প্রতি কলকাতা মোহামেডানের হয়ে খেলে এসেছেন আই লিগ। গুঞ্জন হয়ে এসেছে আইএসএল-এর প্রস্তাব। অস্বীকারও করেননি জামালও।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন