বিশাল জয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে ভারত
পাকিস্তান-ভারত দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল সমান ৬। জিম্বাবুয়ের কাছে কোনোক্রমে ভারত হেরে গেলে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতো পাকিস্তান, কেননা তারা রানরেটের হিসেবে এগিয়ে ছিল।
রোহিত শর্মার দল সেই সুযোগটা দিলো না। মেলবোর্নে প্রতিপক্ষকে বিধ্বস্ত করে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবেই সেমিফাইনালে পা রাখলো ভারত। সুপার টুয়েলভপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে তারা জিম্বাবুয়েকে হারিয়েছে ৭১ রানের বিশাল ব্যবধানে।
১৮৫ রানের বড় লক্ষ্য। ভারতীয় বোলারদের তোপে রান তাড়ায় কখনই ছিল না জিম্বাবুয়ে। ৭.৩ ওভারে ৩৬ রান তুলতে হারায় ৫ উইকেট। এরপর রায়ান বার্ল আর সিকান্দার রাজাই যা একটু চেষ্টা করেছেন।
বার্ল ২২ বলে ৩৫ রান করেন, রাজা ২৪ বলে করেন ৩৪। কিন্তু তাদের ওই ইনিংসগুলো পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসেনি। ১৭.২ ওভারে ১১৫ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে।
ভারতীয় বোলারদের মধ্যে রবিচন্দ্রন অশ্বিন ২২ রানে ৩টি উইকেট। দুটি করে উইকেট হার্দিক পান্ডিয়া আর মোহাম্মদ শামির।
এর আগে ওপেনিংয়ে নেমে ঝড় তুললেন লোকেশ রাহুল। সেই ঝড়কে পেছনে ফেলে টর্নেডো চালালেন সূর্যকুমার যাদব। এই যুগলের জোড়া ফিফটিতে ভর করে ৫ উইকেটে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় ভারত।
মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ভারত। রোহিত শর্মাকে (১৩ বলে ১৫) দ্রুত হারালেও পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেটে ৪৭ রান তুলেছিল ভারত।
রাহুল দারুণ খেলেছেন। ৩৪ বলে ফিফটি পূরণ করেন ডানহাতি এই ওপেনার। যদিও এরপর টিকতে পারেননি। ৩৫ বলে ৩টি করে চার-ছক্কায় ৫১ রান করে হন সিকান্দার রাজার শিকার।
মাঝে বিরাট কোহলি ২৫ বলে খেলেন ২৬ রানের ধীরগতির ইনিংস। রিশাভ পান্ত করেন মাত্র ৩। হার্দিক পান্ডিয়াও তার সহজাত মারমুখী ব্যাটিং করতে পারেননি (১৮ বলে ১৮)।
তবে তাদের ব্যর্থতা ঘুচিয়ে দিয়েছেন সূর্যকুমার। দারুণ সব উদ্ভাবনী শট খেলে মাঠ গরম করা এই ব্যাটার ইনিংসের একদম শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন। ২৩ বলে করেন ফিফটি। ২৫ বলে ৬ চার আর ৪ ছক্কায় ৬১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল শন উইলিয়ামস। ৯ রানে নিয়েছেন ২টি উইকেট।