যমুনার চরে সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা
সিরাজগঞ্জের শীতকালীন সবজি উৎপাদনে কৃষকের বেশ ব্যস্ততা বেড়েছে। চরের উর্বর জমিতে টমেটো, শিম, করলা, ফুলকপি, বাধাকপি,মুলা, লাউ, পুইশাখ, লালশাখ, ঢেঁড়স, ঝিঙ্গা, বেগুনসহ নানা প্রকার সবজি চাষ করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকেরা।পারিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করা জন্য অনেকেই বাড়ির আঙ্গিনায় লাউ ও সিম গাছ লাগিয়েছে ।
সরেজমিনে সোমবার (৭ নভেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ সদরের কাওয়া কোলা ও মেছড়া ইউনিয়নের কয়েকটি চরে গিয়ে দেখা যায় শীতকালীন নানা প্রজাতির সবজি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা। কৃষকরা ভোর থেকেই ছুটে চলেন সবজি ক্ষেতে। নারী-পুরুষসহ সব বয়সী লোকজন সবজি ক্ষেতে করছেন পরিচর্যা। কিন্তু চর থেকে এই সবজি নিয়ে জেলা শহরে নিয়ে যেতে বেশ কষ্ট হচ্ছে কৃষকদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস জানায়, সরকারি সহায়তা হিসাবে কৃষকের মাঝে স্বল্প মেয়াদী শাক-সবজি ও মধ্য মেয়াদী লতা জাতীয় শাক-সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। একজন কৃষককে লালশাক, ডাটাশাক, কলমিশাক, পুইশাক, পালংশাক, শসা, মিষ্টি কুমড়া, করলাসহ নানা প্রকারের সবজি বীজ দেয়া হয়।
মেছড়া চরের কৃষক হযরত বলেন, আমার এই চরে কয়েক বিগা জমি আছে।নানা ধরণের ফসল আবাদ করি
আগের বছর ৫০ শতক জমিতে দেশীয় সার ব্যবহার করে লালশাক ও মরিচ চাষ করেছিলাম। এবছর বেগুন লাগাইছি কিছু দিনের মধ্যে বেগুন বিক্রি করতে পারব ।
সবজি চাষি শাহাদাৎ হোসেন বলেন, দেশীয় পদ্ধতিতে ২০শতক জায়গার মধ্যে আগাম জাতের লাউ আবাদ করেছি। এ চাষে জমি, মাচা তৈরী চারাসহ অন্যান্য খরচ হয় তার প্রায় ১০ হাজার টাকা। কয়েক দফা বৃষ্টিতে সবজি ক্ষতি হলেও এরপর ফলন অনেক ভালো হয়েছে। এ পযর্ন্ত ৪ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছি।
সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রুস্তম আলী বলেন, এ উপজেলার বিশেষ করে যমুনায় চরে নানা প্রকার সবজি আবাদ হচ্ছে। কৃষককের মাঝে স্বল্প মেয়াদী শাক সবজি ও মধ্য মেয়াদী লতা জাতীয় শাক-সবজির বীজ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ফলন বৃদ্ধিতে সব সময় স্থানীয় কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়।