আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধনের দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে দেয়া কূটকৌশল ; সুজন

আগামী নির্বাচনের ফলfাফল ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে নেয়ার কূটকৌশল হিসেবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে ন্যাস্ত করছে সরকার। সকালে সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন’র উদ্যোগে ভার্চুয়াল নাগরিক সংলাপে এমন মতামত জানিয়েছেন, বিশিষ্টজনরা।

তারা বলেন, সাংবিধানিকভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনকে দেয়া আছে। তারপরও সরকারী দলের স্বার্থে দায়িত্ব পরিবর্তন করা হচ্ছে। তাদের আশঙ্কা জাতীয় পরিচয়পত্রের সব তথ্য পুলিশের কাছে গেলে অন্যায়-নির্যাতন বাড়বে। 

এসময় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন কার্যক্রম স্বারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওপর ন্যাস্ত করার চেষ্টা বাতিলের দাবি জানান বিশিষ্টজনরা। আলোচনায় সভাপতিত্ব করেন সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।

সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। এমন একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এক নির্দেশনা দিয়ে সরকার দায়িত্ব নিয়ে নিতে পারে না। এটা সংবিধানের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। সরকার যদি এটা করতেই চায়,তাহলে অন্যভাবে করতে পারে। এটা জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে করা যেতে পারে’।

তিনি বলেন, এনআইডির কাঠামো সরকারের হাতে গেলে এটা রাজনৈতিক উদ্দেশে ব্যবহার হতে পারে। সরকার যাকে ইচ্ছা তাকে ডেটাবেজ যুক্ত করতে পারবে, বাদ দিতে পারবে। এটা চলে যাবে পুলিশের নিয়ন্ত্রণে। এতে দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের সুযোগ হবে।

তিনি আরো বলেন,আগামী জাতীয় নির্বাচন ইভিএমে হবে। সেই ইভিএম উপলক্ষ্যে তিন হাজার নয়’শ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেই টাকা জায়েজ করতে এমনটা করা হচ্ছে।

ইভিএম’র সমলোচনা করে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম নির্বাচনে দু’বার ভোটের ফলাফল হয়েছে। ইভিএম দিয়ে তো এমন হওয়ার কথা নয়। জাতীয় পরিচয়পত্র, এনআইডি, ডাটাবেজ যদি সরকারের কাছে যায়,তাহলে সরকার কারসাজি করতে পারবে। এনআইডি রাজনৈতিক উদ্দেশের অপব্যবহারের সুযোগ পাবে।
সংলাপে সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটি এম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিচারপতি এম এ মতিন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, আইন ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড.শাহদীন মালিক, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার অংশ নেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন