রাজীব গান্ধী হত্যার ৬ অপরাধী মুক্তি পাচ্ছে
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অবশেষে মুক্তি পাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার অপরাধীরা। ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ছজনকে শুক্রবার মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এই তালিকায় রয়েছেন, নলিনী শ্রীহরণ, রবিচন্দ্রন, শান্থন, মুরুগান, রবার্ট পায়াস এবং জয়কুমার।
ওই মামলার আর এক যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত পেরারিভালনকে চলতি বছরের মে মাসে মুক্তি দিয়েছিলেন সুপ্রিম কোর্ট। নলিনীসহ অন্য দোষীরাও রাজীব হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন জেলের সাজাপ্রাপ্ত। তারা ২৩ বছর বা তারও বেশি সময় ধরে জেলবন্দি রয়েছেন। মুক্তির রায় শোনার পরে নলিনী শুক্রবার বলেন, ‘আমি জঙ্গি নই।’
১৯৯১-এর ২১ মে তামিলনাড়ুর শ্রীপেরমবদুরে একটি নির্বাচনী জনসভায় আত্মঘাতী বোমা বিস্ফোরণে সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীবের মৃত্যু হয়েছিল। পরে জানা যায়, শ্রীলঙ্কার বিদ্রোহী তামিল গোষ্ঠী এলটিটিই-র ধানু নামে এক মহিলা আত্মঘাতী জঙ্গি নিজেকে বোমার সঙ্গে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। ঘটনায় সাত জনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের নির্দেশ দেন আদালত। প্রাণভিক্ষা চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন যায়। সেই বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে দেরি হওয়ায় ২০১৪ সালে সুপ্রিম কোর্টে মৃত্যুদণ্ড যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে যায়।
২০১৮ সালে তামিলনাড়ুর তৎকালীন এডিএমকে মন্ত্রিসভা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদিদের সময়ের আগে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সেই সিদ্ধান্তনামা তামিলনাড়ুর তৎকালীন রাজ্যপাল বানওয়ারিলাল পুরোহিতের কাছে গেলে তা তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে বিবেচনার জন্য পাঠান। রাজ্যপাল এ বিষয়ে সিলমোহর না দেয়ায় সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন পেরারিভালন। শীর্ষ আদালতের নির্দেশে তার মুক্তির পর নলিনী এবং রবিচন্দ্রন মুক্তি চেয়ে মাদ্রাজ হাই কোর্টে আবেদন জানিয়েছিল। গেলো জুন মাসে মাদ্রাজ হাই কোর্ট এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানাতে ‘পরামর্শ’ দেয় নলিনীদের।